বইয়ের বিষয়বস্তু কঠিন লাগলে এআইকে বলুন, বুঝিয়ে দেবে সহজেই

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই এখন আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সারাক্ষণ কোনো না কোনো কাজে ব্যবহার করছেন এআই। কখনো লেখালেখি, তথ্য খোঁজা, আইডিয়া তৈরি কিংবা দৈনন্দিন কাজের সমাধানে এআই ব্যবহার করছেন। তাই তো এআই চ্যাটবটগুলো নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসছে ব্যবহারকারীদের জন্য। যা আপনার জীবনটা আর সহজ করে দেবে। যারা বই পড়তে পছন্দ করেন তাদের অনেক সময় এমন হয় যে কিছু বইয়ের বিষয়বস্তু কঠিন মনে হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থী যারা তাদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হয়। তাদের জন্য অ্যামাজন কিন্ডলের ‘আস্ক দিস বুক’ ফিচার হতে পারে মুশকিল আসান। অ্যামাজন তার কিন্ডল অ্যাপে একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচার চালু করেছে। ‘আস্ক দিস বুক’ নামের এই ফিচারটি পাঠকদের বই সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটির বিশেষত্ব হলো, গল্পের মজা নষ্ট না করে (স্পয়লার-মুক্ত) উত্তর দেয়। অ্যাপের ইন-বুক মেনুতেই মিলবে এই অপশন। এর মাধ্যমে বইয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা যাবে। চ্যাটের মতো করে প্রশ্ন করা যাবে বইয়ের নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে। কোনো অধ্যায় বা অনুচ্ছেদ কপি করে তার সহজ সারাংশও জানতে চাইতে পারবেন ইউজার। এই ফিচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে। বইয়ের ভেতরে থাকা তথ্য থেকেই উত্তর দেবে এই সিস্টেম। ফলে দীর্ঘ বই পড়া অনেকের কাছেই সহজ হয়ে উঠবে। বিশেষ করে যারা পড়াশোনা বা রিসার্চের কাজে কিন্ডল ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এই ফিচার বেশ কাজে আসতে পারে। কোনো জটিল অংশের ব্যাখ্যা বা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট খুঁজে পাওয়া যাবে দ্রুত। তবে এই নতুন ফিচার ঘিরে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন কপিরাইট নিয়ে। এআইয়ের সাহায্যে বই পড়া হলে, সে ক্ষেত্রে লেখক বা প্রকাশকের অনুমতির প্রয়োজন হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি, সব অনুচ্ছেদের অর্থ ঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। ভুল ব্যাখ্যা পাঠকের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন অনেকেই। বর্তমানে আইওএস-এর কিন্ডল ভার্সনে এই ফিচার পাওয়া যাচ্ছে। নির্দিষ্ট দিন জানা না গেলেও, নতুন বছরের শুরুতেই অ্যান্ড্রয়েড এবং কিন্ডল ডিভাইসগুলোতেও এই সুবিধা চালু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। আরও পড়ুনসোশ্যাল মিডিয়া নজর রাখছে আপনার ব্যক্তিগত জীবনেওএআই দিয়ে বানানো নাকি আসল ছবি চিনবেন যেভাবে সূত্র: দ্য ভার্জ কেএসকে