কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ভেতরে সংঘটিত পরপর তিনটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে এপারের সীমান্তবর্তী বাড়িঘর কেঁপে উঠেছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব বিস্ফোরণের তীব্রতা অনুভূত হয়। সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। জান্তা বাহিনী আরাকান আর্মির দখলে থাকা একাধিক শহর ও গ্রাম পুনরুদ্ধারে সেখানে ধারাবাহিক হামলা চালাচ্ছে। অপরদিকে আরাকান আর্মিও পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে গতকাল শনিবার রাতে পরপর তিনটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জানা গেছে, জান্তা সরকার রাখাইনের বলিবাজার এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এসব বিস্ফোরণের প্রভাব টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় অনুভূত হয় এবং সীমান্তবর্তী বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। হোয়াইক্যং সীমান্তের বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহ জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার পর হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পরপর তিনটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তার বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। তিনি আরও জানান, মনে হচ্ছিল ভূমিকম্পে বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি পরিবার নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে অবস্থান করি। হ্নীলার বাসিন্দা হাসান আলী জানান, সীমান্তের ওপার থেকে আসা বিকট বিস্ফোরণের শব্দে তারা চরম আতঙ্কে পড়ে যান। তিনি আরও জানান, হঠাৎ করে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। ঘরের ভেতরে থাকা শিশু ও বৃদ্ধরা ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করে। টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইনামুল হাফিজ নাদিম জানান, রাতেই বিষয়টি অবগত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করেন এবং নিরাপদে থাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম/এফএ/জেআইএম