অধিনায়কের যোগানো আত্মবিশ্বাসে বাজিমাত খালেদের

বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও হারতে হয়েছে সিলেট টাইটান্সকে। নিজেদের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচটায় অবশ্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সিলেটের এই জয়ে অন্যতম কারিগর ছিলেন খালেদ আহমেদ। নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব নিজের অধিনায়ককে দিয়েছেন খালেদ।তিনি বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে এতটা (ভালো বোলিং) হয়নি। আজকে (দ্বিতীয় ম্যাচে) আত্মবিশ্বাসী ছিলাম, পাওয়ারপ্লেতে বল করলে যেন দলকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারি। আমাকে অধিনায়ক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, আমি আমারটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’গতকালকের ম্যাচে নোয়াখালীকে মাত্র ১৪৩ রানে বেঁধে ফেলেছিল সিলেট। ব্যাটিং ডেপথ এবং মাঠের কন্ডিশন বিবেচনায় রান তাড়াটা সহজই হওয়ার কথা ছিল সিলেটের জন্য। তবে শেষদিকে এসে ভয়াবহ এক কোলাপ্স দেখা যায়। মেহেদী হাসান রানার হ্যাটট্রিকে সিলেটের হাত থেকে ম্যাচটা প্রায় ফসকেই যাচ্ছিল। রানার হ্যাটট্রিকে শেষ উইকেটটা ছিল খালেদের। ওই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং করলেন না, সেই প্রশ্নের উত্তরে খালেদ জানান, ছক্কা মেরে শেষ ওভারে ম্যাচটা সহজ করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ‘শেষ দিকে ছিল খেলা। আমি ছয় মেরে দিলে তো খেলা শেষ হয়ে যাবে। আমি চেষ্টা করেছি যেন ছয়টা হয়। হয়তো মিস টাইমিং হয়ে গেছে। টাইমিং হলে ছয়টা হয়ে যেত।’অপরিসীম সমর্থনের জন্য সিলেটি দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন খালেদ, ‘গতকাল (উদ্বোধনী দিন) হারার পর আমি বাইরে গিয়েছিলাম। সবাই আমার সঙ্গে কথা বলেছে, আফসোস করছিল, জিততে পারলে ভালো হতো। আমি বলে এসেছিলাম ইনশাআল্লাহ আজকে জিতব। আলহামদুলিল্লাহ সবাই সাপোর্ট করেছে। সিলেটে সবসময় দর্শক হয়। এরকম ভালো খেলা হলে দর্শক হয়। মাঠে দর্শক থাকলে খেলতেও ভালো লাগে তো আমি চেষ্টা করেছি।’আরও পড়ুন: রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচের শেষ বলে জয় তুলে নিলো সিলেটএদিকে, দুই হার নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা নোয়াখালী এক্সপ্রেস। গতকাল জয়ের অনেকটা কাছে গেলেও শেষ ওভারে সেই আশা তছনছ করে দেন ইংলিশ তরুণ ইথান ব্রুকস। শেষ বলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে নবাগত দলটি। তবে এই পরিস্থিতি থেকে দল দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে বলে বিশ্বাস দলটির অন্যতম ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এখানকার কন্ডিশনে প্রথম ৩-৪ ওভার চ্যালেঞ্জিং। বল অনেক ভালো মুভ করে। সবাই হয়তো সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেনি। নতুন ব্যাটারের জন্য খেলা কঠিন ছিল। আশা করি (নোয়াখালী) ভালোভাবে কামব্যাক করবে। এই ম্যাচে সবসময় বিশ্বাস ছিল ভালো জুটির পর ভালো ব্রেকথ্রু এনে দিলে ভালো করতে পারব। কিছুটা আনলাকি যে ম্যাচটা জিততে পারিনি।’শেষ ওভারে হারের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আমরা ওভাররেটে পিছিয়ে ছিলাম, যে কারণে বাড়তি ফিল্ডার ভেতরে আনতে হয়েছে। বোলারের জন্যও কঠিন ছিল, শিশির ছিল, আমরা বিশ্বাস রেখেছিলাম জিততে পারব। তবে করতে পারিনি।’প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও সমর্থকদের আশা হারাতে বারণ করেছেন অঙ্কন, ‘বিপিএলে এমনটা হয়। যারা খেলছে তাদেরও সামর্থ্য রয়েছে। ১-২ ম্যাচেই জাজ না করা ভালো। আশা করছি দল হিসেবে ভালোভাবে কামব্যাক করতে পারব।’