কারাদণ্ড হতে পারে লিভারপুলের সাবেক তারকা ক্যারলের

ইংল্যান্ড ও লিভারপুলের সাবেক স্ট্রাইকার অ্যান্ডি ক্যারল বিমানবন্দরে গ্রেফতার হওয়ার পর সম্ভাব্য কারাদণ্ডের মুখে পড়েছেন।গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলে অন্যতম চমক ছিল অ্যান্ডি ক্যারলের ইংল্যান্ডে ফেরা। বিস্ময় জাগিয়ে ইংলিশ ফুটবলের ষষ্ঠ স্তরের ক্লাব ডাগেনহ্যাম অ্যান্ড রেডব্রিজে যোগ দেন লিভারপুলের সাবেক এই তারকা। কাতারি বিনিয়োগকারীদের একটি কনসোর্টিয়াম ক্লাবটিকে অধিগ্রহণ করলে তিনি খেলোয়াড়ের পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডার হিসেবেও চুক্তিবদ্ধ হন।আইনি কারণে ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করা সম্ভব না হলেও, দ্য সান-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন-মোলেস্টেশন অর্ডার (অন্যকে হয়রানি না করার আদালতের নির্দেশ) ভঙ্গের অভিযোগে গত এপ্রিলে বিমানবন্দরে গ্রেফতার হওয়ার পর ক্যারল এখন কারাদণ্ডের আশঙ্কায় রয়েছেন। ইংল্যান্ডের সাবেক এই ফরোয়ার্ড আগামী মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) আদালতে হাজির হবেন, সেখানেই তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরও জানা যাবে।এসেক্স পুলিশের এক মুখপাত্র দ্য সান'কে বলেন, 'নন-মোলেস্টেশন অর্ডার ভঙ্গের অভিযোগে একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইপিংয়ের বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু ক্যারলকে ২৭ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় এবং অভিযোগিত ঘটনাগুলো মার্চ মাসের একটি ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত। ৩০ ডিসেম্বর চেলমসফোর্ড ম্যাজিস্ট্রেটস কোর্টে তার হাজিরা দেয়ার কথা।' আরও পড়ুন: নৌকাডুবিতে প্রাণ গেল ভ্যালেন্সিয়ার কোচেরআরও একটি সূত্র জানায়, 'স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরের পাসপোর্ট কন্ট্রোলে বর্ডার ফোর্স কর্মকর্তারা কোনো একটি বিষয়ে সন্দেহ করেন, এরপর পুলিশকে ডাকা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিয়ে যাওয়া হয়। আশপাশে অনেক যাত্রী থাকায় ঘটনাটি বেশ হইচই ফেলে দেয়।'নিউক্যাসল ইউনাইটেড, লিভারপুল ও ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডে খেলা ক্যারল ফরাসি চতুর্থ-ডিভিশনের ক্লাব বোর্দোর সঙ্গে স্বল্প সময় কাটানোর পর দেশে ফেরেন। ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও, তিনি এসেক্সভিত্তিক ডাগেনহ্যাম অ্যান্ড রেডব্রিজে মাঠে ও মাঠের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে এক অপ্রত্যাশিত পথ বেছে নেন।ষষ্ঠ-স্তরের ক্লাবে সই করার পর ক্যারল বলেছিলেন, 'আমার বাচ্চারা ভেবেছিল আমি চেলসিতে সই করছি—ওদের জন্য এটা বড় চমক হবে। জায়গাটা দারুণ এবং আমার বাচ্চাদের কাছেই। ওরা এসে আমাকে খেলতে দেখতে পারবে।' আরও পড়ুন: মাইলফলকের ম্যাচে জোড়া গোল করলেন রোনালদোবোর্দোতে প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতার পর ক্যারল স্বীকার করেন, এখন স্থায়ীভাবে বসবাসের সময় এসেছে। তিনি বলেন, 'বোর্দোতে আমার সময়টা খুব উপভোগ করেছি, কিন্তু এখন পরিবারের সঙ্গে স্থায়ীভাবে থাকার সময়। আশা করছি আমার বাচ্চারা তাদের বন্ধুদের নিয়ে আমাকে খেলতে দেখতে আসবে। আমি ফুটবল খেলা শেষ করতে চাইনি, আর নেতৃত্বের ভূমিকায় যুক্ত হয়ে খেলোয়াড় হিসেবেও থাকতে পেরে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। সব স্তরেই ক্লাব কীভাবে পরিচালিত হয়, সে অভিজ্ঞতা আমার আছে। আমি মনে করি, আমি নতুন কিছু যোগ করতে পারব।'সবকিছুই নির্ভর করছে মঙ্গলবারের আদালতের রায়ের ওপর—সেখানেই নির্ধারিত হবে ক্যারলের ভবিষ্যৎ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।