মহান আল্লাহর হুকুমেই পুরুষদের দাড়ি ওঠে। মেয়েদের ওঠে না। তাই প্রাকৃতিক নিয়মেই পুরুষকে দাড়িতে মানায়। সুন্দর দেখায়। এছাড়া পৃথিবীতে আল্লাহর প্রেরণ করা সব নবী-রসুলের দাড়ি ছিলো।কারও দাড়ি বা চুল পেকে যায় তাহলে তা না উঠিয়ে রেখে দেয়ার কথা বলা হয়েছে হাদিসে। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী পাকা চুল মানুষের জন্য রহমত। হাদিসে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাকা চুল উঠাতে নিষেধ করেছেন। মানুষের চুল পাকায় রয়েছে অনেক ফজিলত ও মর্যাদা। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা সাদা চুল উঠাবে না। কারণ এগুলো কেয়ামতের দিন নূর হবে। আর যে (মুসলিম) ব্যক্তির চুল বার্ধক্যের কারণে সাদা হয় তার প্রতিটি সাদা চুলের বিপরীতে একটি করে সাওয়াব লেখা হয়, একটি করে গোনাহ মাফ করা হয় এবং একটি করে মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়। (ইবনু হিব্বান) আরও পড়ুন: তাবলিগের খুরুজের জোড় ২ জানুয়ারি থেকে হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ নাসাঈ ও মিশকাতের বর্ণনায় এসেছে, ‘রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাকা চুল তুলতে নিষেধ করেছেন। কারণ পাকা চুল হলো মুসলমানের জ্যোতি। কোনো মুসলমানের একটি চুল পেকে গেলে আল্লাহ তাআলার তার জন্য একটি নেকি লেখেন। একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং একটি পাপ মুচে দেন।’ (নাসাঈ, মিশকাত) আরেক হাদিসে আছে, হজরত আমর ইবনু শুআইব (রহ.) ধারাবাহিকভাবে তার বাবা ও দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, ‘রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা পাকা চুল-দাঁড়ি উঠাবে না। কেননা কোনো মুসলিম ইসলামের মধ্যে থেকে চুল পাকালে (সুফিয়ানের বর্ণনায় রয়েছে) এটা তার জন্য কেয়ামাতের দিন উজ্জ্বল নূর (আলো) হবে। (ইয়াহইয়ার বর্ণনায় রয়েছে) আল্লাহ তার প্রতিটি পাকা চুলের পরিবর্তে তাকে একটি নেকি দান করবেন এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দেবেন। (আবু দাউদ; তিরমিজি)