আসা-যাওয়া রাজনৈতিক দলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া: জারার পদত্যাগে আখতার

জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনা নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) তীব্র মতভেদ দেখা দিয়েছে। দলটির বিভিন্ন সূত্র বলছে, এর জেরে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা পদত্যাগ করেছেন এবং আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই নাটকীয় পরিস্থিতির মধ্যেই রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুই মামলায় জামিন পাওয়ার পর দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেছেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন। তাসনিম জারার পদত্যাগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণার বিষয়ে আখতার বলেন, অনেকে আমাদের রাজনৈতিক দলে নতুন করে যোগদান করেছেন, আবার অনেকে চলেও গেছেন। এটি একটি রাজনৈতিক দলের বিকাশের জন্য একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে আমরা যারা আছি, সবাই দলের প্রতি অটল থেকে ঐক্যবদ্ধ আছি। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা চাই আমাদের দলে গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমেই নেতৃত্বের জায়গায় উঠে আসুক।’ জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে দলের ভেতর চলা অস্থিরতা প্রসঙ্গে আখতার হোসেন স্পষ্ট করেন যে, আসন সমঝোতার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আন্দোলনের সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমঝোতার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলমান রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আলোচনা কেন্দ্র করেই মূলত তাসনিম জারাসহ দলের একটি অংশের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত পদত্যাগের রূপ নিলো। এদিকে আজ (রোববার) দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে বিগত সরকারের আমলে শাহবাগ থানায় করা দুই মামলায় জামিন পান আখতার হোসেন। পরে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মোদি বিরোধী আন্দোলন এবং আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে করা এই রাজনৈতিক মামলাগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের দেড় বছর পার হয়ে গেলেও নিষ্পত্তি হয়নি, যা দুঃখজনক। তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ছয়টি মামলার মধ্যে কয়েকটিতে তিনি খালাস পেয়েছেন এবং আজ দুই মামলায় জামিন হলো। বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচি কেন্দ্র করে শাহবাগ থানায় এসব মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আদালত প্রাঙ্গণে জামিন লাভের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘এই মামলাগুলো বিগত সরকারের সময়ে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। একটি মামলা ছিল মোদি বিরোধী আন্দোলন এবং অন্যটি আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদ কর্মসূচির দায়ে। অন্তর্বর্তী সরকারের দেড় বছর সময় পার হয়ে গেলেও এই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো কেন নিষ্পত্তি করা হয়নি, তা নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ।’ এমডিএএ/এমআইএইচএস/এমএস