আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়নপত্রে সন্তানের আয়করের হিসাব দেওয়ার বিষয়ে স্পষ্টতা চায় বিএনপি।রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান তিনি। নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আয়করের হিসাব দেওয়ার বিষয় নিয়ে একটা জটিলতা হয়ে গেছে। এ জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে একটা চিঠি দিয়েছি এবং তাদের সঙ্গে আজকে আমরা কথা বললাম যে, এই বিষয়টা যদি খুব দ্রুত স্পষ্ট করা না হয়, যদি এটা থেকে যায় এইভাবে তাহলে খুব সংগত কারণেই সমস্যা সৃষ্টি হবে।’ তিনি আরও বলেন, আরপিওতে (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) না থাকা সত্ত্বেও মনোনয়নপত্রে প্রত্যেকটা কলাম পূরণ করতে হয়। সেখানে একটা জায়গায় বলা আছে, সন্তানেরও আয়করের হিসাব দিতে হবে। কিন্তু আরপিওতে বলা আছে এবং আমরা সবাই জানি যে প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীল যারা তাদের হিসাবটা দিতে হয়। কিন্তু এবার সেটার সাথে সন্তান বলে একটা কলাম করা হয়েছে। যেটা নিয়ে সব জায়গায় একটা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে যে এর মানেটা কি? কারণ অনেকের সন্তান নিজেই উপার্জন করে এবং তারা নির্ভরশীল নন। অনেকে দেশের বাইরে থাকেন। তারা নিজেরা আলাদাভাবেই ট্যাক্স দেয়। নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা হলে তারা একমত পোষণ করেন এবং জানান যে এখানে কেবল 'নির্ভরশীল সন্তান' বোঝানো হয়েছে। এছাড়া কমিশন এ বিষয়ে দ্রুত স্পষ্ট করে নির্দেশনা জারি করবে বলে বিএনপিকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেন তারেক রহমান এটি শুধু বিএনপি নয় বরং সব দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্যই সুবিধাজনক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিএনপি। প্রযুক্তি ও এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর অপব্যবহার সমাজ ও সভ্যতার জন্য ক্ষতিকর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এআই ব্যবহার করে কেউ যেন অপপ্রচার বা মানহানিকর কিছু করতে না পারে সে ব্যাপারে ইসিকে কঠোর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে এবং ভুয়া তথ্য বা ফেক নিউজ দ্রুত চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া উপস্থিত ছিলেন। সূত্র বাসস।