জামালপুর শহর ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটি বিলুপ্তির দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছে ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে স্থানীয় মেডিকেল রোড় থেকে মিছিল বের হয়ে শহর পদক্ষিন শেষে তামালতলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।গত ২৪ ডিসেম্বর জামালপুর শহর ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বাদ দিয়ে নতুন কমিটি দেয়া হয়েছে। এই কমিটি ঘোষণার পর থেকে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শহরে মশাল মিছিল, রাস্তা আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ এবং ককটেল বিস্ফোরন করে।মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা ছাত্রদলের সাবেক দফতর সম্পাদক আপেল মাহমুদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈকত হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হাদিউল ইসলাম রাব্বি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক পাবেল মাহমুদ, শরীফপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল হাসান।তাদের অভিযোগ ছাত্রদলের ত্যাগী নেতাদের দিয়ে গঠিত ছাত্রদলের কমিটি বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে হামলা, মামলা জেল জুলুমের শিকার হয়েছে। হঠাৎ করেই সেই কমিটি বাতিল করে ছাত্রলীগ ও ফল ব্যবসায়ী চাঁদাবাজদের দিয়ে নতুন কমিটি দেয়া হয়েছে। নতুন কমিটি বাতিল করা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুমকি দেয়া হয়েছে।আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সারাদেশের নেতাকর্মী যখন ঢাকামুখী ঠিক তখন জামালপুর পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।আরও পড়ুন: ভোলায় ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যারবিন আহম্মেদকে আহ্বায়ক ও ফাহিম হোসেন পান্নাকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটি গত ১৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায়।জামালপুর সদর ৫ আসনের এমপি প্রার্থী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন ছাত্রদলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্য লোকজন দিয়ে পকেট কমিটি করেছে যারা বিগত দিনে রাজপথে ছিল না। তবে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে ফল ব্যবসায়ী এবং ছাত্ররাজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুর রহমান শফিক বলেন, বিগত সময়ে যারা মাঠে কাজ করেছে তাদেরকে বাদ দিয়ে পাঁচই আগস্টের পরে যারা দলে এসেছে তাদেরকেই এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।