ঢাকা থেকে ঝালকাঠিগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের চার স্টাফকে চাঁদপুরে নৌ পুলিশের হাতে রোববার হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর দিনগত রাতে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরে নৌ পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি জানান, এর আগে ঝালকাঠি সদর মডেল থানা পুলিশ জেলার হাইমচর উপজেলার নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়িতে ওই চারজনকে হস্তান্তর করে। রোববার বিকেলে চাঁদপুরের একটি আদালতে তাদের হাজির করা হয়। পরে আদালতের বিচারের কাছে দুর্ঘটনার দায় স্বীকার করলে আদালতের নির্দেশে এ চারজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এদিকে, ওই দিনের দুর্ঘটনার জন্য দায়ী এমভি এডভেঞ্চার-৯ এর চার স্টাফকে আসামি করে মামলা করেন নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক কংকন কুমার বিশ্বাস।আরও পড়ুন: মেঘনায় দুর্ঘটনা: অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিলপুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এই চারজন হচ্ছেন, মিন্টু মাঝি (২৮), সোহেল গাজী (৪০), মহিন হাওলাদার (৩৪) এবং মনিরুজ্জামান চৌধুরী (৪৬)। গত ২৬ ডিসেম্বর এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ যাত্রীবাহী লঞ্চের এই ৪ স্টাফকে ঝালকাঠি সদর মডেল থানা পুলিশ আটক করে। প্রসঙ্গত, ভোলার চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট থেকে যাত্রী নিয়ে রাজধানী ঢাকার সদরঘাট যাচ্ছিল এমভি জাকির সম্রাট-৩ নামে একটি লঞ্চ। এটি চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে পৌঁছালে বিপরীত হতে ঝালকাঠিগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে আরেকটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে এমভি জাকির সম্রাট-৩ এর চার যাত্রী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।আরও পড়ুন: মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনা, ৪ স্টাফসহ এডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ জব্দঘন কুয়াশার কারণে এমন দুর্ঘটনা সংঘটিত হলেও মূলত সংশ্লিষ্ট দুটি লঞ্চের চালকদের আনাড়িপনা ও অদক্ষতাকে দায়ী করা হয়েছে। এমন অভিযোগে এরইমধ্যে এই দুই লঞ্চের ফিটনেস বাতিল করা হয়েছে বলে জানান, চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। বর্তমানে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী দুটি লঞ্চই বিআইডব্লিউটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।