এনসিপি থেকে পদত্যাগের কোনো যৌক্তিকতা দেখছেন না দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, আমি পদত্যাগ করার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না যেহেতু আমি এনসিপির আনুষ্ঠানিক সকল বয়ান সাবস্ক্রাইব করি। কেউ কেউ বিচ্যুত হলেও দল হিসেবে এনসিপি সঠিক অবস্থানেই ছিল।রোববার (২৮ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলনের প্রতিক্রিয়ায় নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর প্রেস কনফারেন্স থেকে জানতে পারলাম এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে। গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের আত্মপ্রকাশের দিন জোটের মুখপাত্র ও এনসিপির আহ্বায়কের বক্তব্য অনুযায়ী তা হওয়ার কথা নয়। এমনকি তিন দলের একটি দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এরইমধ্যে তাদের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে আসন সমঝোতার দিকে গেছে এনসিপি তাও উল্লেখ করেছেন।তিনি আরও বলেন, তৃতীয় শক্তি তৈরির উদ্যোগকে ব্যাহত করে এমন অবস্থান জাতীয় নাগরিক পার্টির মূলধারাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমি এনসিপির এতদিনের সকল বক্তব্যকে ধারণ করি, স্বাগত জানাই।আরও পড়ুন: জামায়াতকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সামান্তা শারমিনএনসিপি মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত সম্পর্কে সামান্তা সারমিন বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির কিছু মানুষ কতিপয় আসনের বিনিময়ে ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে এ দলের মূল আকাঙ্ক্ষা থেকে বিচ্যুত হলো।’পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না যেহেতু আমি এনসিপির আনুষ্ঠানিক সব বয়ান সাবস্ক্রাইব করি। কেউ কেউ বিচ্যুত হলেও দল হিসেবে এনসিপি সঠিক অবস্থানেই ছিল।’জামায়াতের সঙ্গে জোটের আলোচনা ওঠার পরপরই প্রতিবাদে গত ২৫ ডিসেম্বর এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য মীর আরশাদুল হক পদত্যাগ করেন। তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটির মনোনয়ন পেলেও নির্বাচন করবেন না বলে জানান। এরপর গত ২৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব পদে থাকা ডা. তাসনিম জারা। আজ পদত্যাগের ঘোষণা দেন তাসনুভা জাবীনও।