এনসিপি কারও একার সম্পত্তি না, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা মনিরার

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতা আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন অনেকেই বেছে নিয়েছেন পদত্যাগের পথ। আবার কেউ সরে দাঁড়িয়েছেন নির্বাচন থেকে। দল থেকে পদত্যাগ না করলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নওগাঁ-৫ থেকে এনসিপি মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমিন। বলেন, আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারো একার সম্পত্তি না।রোববার (২৮ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থি রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ-৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সাথে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না।’‘আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙিনি। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্ট এর চেয়ে আমার গণ অভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’আরও পড়ুন: জামায়াতের জোটে এনসিপি, পদত্যাগ নিয়ে যা বললেন সামান্তা শারমিনঅনুদান ফেরত দেয়ার বিষয়ে মনিরা লিখেন, ‘আমি কিছুদিন আগে ক্রাউড ফান্ডিং করে নির্বাচনের অনুদান নিয়েছি। আমাকে যারা অনুদান দিয়েছেন, তারা এনসিপির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অবস্থান দেখে ডোনেট করেছেন। যারা নিজেদের ডোনেশন ফেরত চান, তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। সেই সংখ্যাটা ১ জন হলেও আমার দায়বদ্ধতা হল, অনুদানের অর্থ ফেরত দেয়া। আমি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনুদানের অর্থ ফেরত দেব বিকাশের মাধ্যমে।’‘যারা আমাকে অনুদান দিয়েছেন, আমার কঠিন পথে সাহস যুগিয়েছেন, অনেক আশার কথা লিখেছেন, তাদের এই মুহূর্তের জনয় হতাশ করার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। তবে জানবেন, আমি ক্ষমতার রাজনীতি করতে আসি নাই। রাজনীতি পরিবর্তনের বয়ান দিয়ে সিট ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় যেয়ে নিজেদের দলের প্রতি, মানুষের প্রতি বেইনসাফি করব না। জনতার কথা ও নতুন রাজনীতির কথা আপনাদের হয়ে বলতে থাকব ইনশাল্লাহ।’পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি লিখেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারো একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে আমার দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’