ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী দুজন!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বিএনপির আগের মনোনীত প্রার্থী দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমানকে বহাল রেখেই জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে মনোনয়নপত্র দেয়া হয়।বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ কসবা-আখাউড়া বিএনপির মনোনীত দুজন প্রার্থী দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।এদিকে দুপুরে জেলা বিএনপির সদস্য কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার মনোনয়নের খবরে তার অনুসারীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করে গেছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়ে মাতিয়ে রেখেছেন।আরও পড়ুন: দলের সিদ্ধান্ত দল নেবে, আমি নেব আমার সিদ্ধান্ত: রুমিন ফারহানাএ ব্যাপারে মনোনয়নপ্রাপ্ত জেলা বিএনপির নেতা কবীর আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমি অত্যন্ত খুশি। আমার দীর্ঘ ১৭ বছর দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। আজ আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে। আমাকে মূল্যায়ন করায় আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের হাই কমান্ডের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’এদিকে একই আসন থেকে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনীতির বিষয়ক সম্পাদক উপজেলা বিএনপি সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল জানান, মনোনয়নপত্রের উপরে সংযুক্তির দুই লেখা আছে। তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। এই মনোনয়নটি ব্যাকআপ হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলে ধারনা করছেন। আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রুমিন ফারহানার মনোনয়নপত্র সংগ্রহতিনি জানান, পূর্বের মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নটি কোনো কারণে বাতিল হলে দ্বিতীয় মনোনীত প্রার্থী যেন নির্বাচন করতে পারেন হয়তো এ কারণে দলের পক্ষ থেকে দেয়া হতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আগে মনোনয়নপ্রাপ্ত মুশফিকুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর মিশন জানান, পূর্বে দেওয়া মনোনয়নটি বহাল আছে। কোনো কারণে প্রথম প্রার্থীর মনোনয়নটি বাতিল হলে দ্বিতীয় মনোনীত প্রার্থী যেন দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন করতে পারেন, সেজন্য ব্যাকআপ হিসেবে কবীর আহমেদ ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৯৯ জন। এর মধ্যে নারী ২ লাখ ১৩ হাজার ২৪০ জন, পুরুষ ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৫৩ জন।