ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর দম্ভ, ভিডিও ভাইরাল

ভারতের মধ্য প্রদেশের সাতনা জেলায় বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে এক নারীকে ছুরির মুখে ধর্ষণ, সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ এবং পরে ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে বারবার যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, তার কিছুই হবে না। তার এমন মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্তের নাম অশোক সিং। তিনি সাতনার রামপুর বাঘেলান নগর পরিষদের এক বিজেপি কাউন্সিলরের স্বামী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে তাকে পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে এবং নির্যাতিতা নারীকে হুমকি দিতে শোনা যায়। ভিডিওতে ওই নারীকে কাঁদতে কাঁদতে অভিযোগ করার কথাও বলতে শোনা যায়। আরও পড়ুন>>ভারতে দলিত কিশোরীকে ৫ বছর ধরে ধর্ষণ করে ৬০ জনভারতে স্কুলে যাওয়ার পথে দলিত কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণভারতে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণ, স্কুলভ্যান চালক গ্রেফতারভারতে বাসের ভেতরে ধর্ষণ, ১০০ মিটারের মধ্যেই ছিল পুলিশ স্টেশন ভুক্তভোগী নারী সোমবার সাতনার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রায় ছয় মাস আগে অশোক সিং তার বাড়িতে ঢুকে ছুরির মুখে তাকে ধর্ষণ করেন এবং মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। এরপর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া ও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার হুমকি দিয়ে তাকে চুপ থাকতে বাধ্য করা হয়। ये सतना में बीजेपी पार्षद का पति है, अपराधी है...रेप पीड़ित को धमकी दे रहा है , पुलिस को अपशब्द कह रहा है लेकिन आराम से घूम फिर रहा है pic.twitter.com/VGiOunALlc — Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) December 27, 2025 নারীর অভিযোগ, গত ২০ ডিসেম্বর অভিযুক্ত আবার তার কাছে এসে শ্লীলতাহানি করেন এবং আবারও ভিডিও প্রকাশের হুমকি দেন। তিনি জানান, অভিযুক্তের অপরাধমূলক অতীত রয়েছে এবং এর আগেও তাকে জেলা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই কারণেই অশোক সিং নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে প্রকাশ্যে হুমকি দিতে সাহস পাচ্ছেন বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগী আরও বলেন, অভিযুক্ত নিয়মিত তার দোকানে এসে গালিগালাজ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান, ফলে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আরও পড়ুন>>ভারতে এক বছরে ২০ হাজার কন্যাশিশুকে ধর্ষণভারতে আদালতের রায়/ বুকে স্পর্শ করা ধর্ষণচেষ্টা নয়, গুরুতর যৌন নিপীড়নভারতে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে সেনাসদস্য গ্রেফতারভারতে এবার ব্রিটিশ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ১ পুলিশ সুপার হংসরাজ সিং অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তের দায়িত্ব উপ-পুলিশ সুপার মনোজ ত্রিবেদীর কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ভাইরাল ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে এবং সব প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অভিযোগ দায়েরের কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো গ্রেফতারের খবর না থাকায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নির্যাতিতা নারী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, তার বা পরিবারের কারও কোনো ক্ষতি হলে তার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। ঘটনাটি সামনে আসার পর ভারতে রাজনৈতিক প্রভাব ও আইনের শাসন নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভিকেএএ/