গজারিয়ায় মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর উমায়ের হাসান (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। গত বুধবার রাতে দুই বন্ধুর ডাকে ঘর থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী কাজীপুরা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত উমায়ের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার চর কিশোরগঞ্জ এলাকার মুক্তার গাজীর ছেলে।নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সোহাগ ও বায়েজিদ নামে দুই বন্ধু উমায়েরকে মোবাইল ফোনে কল করে বাসা থেকে ডেকে নেয়। এরপর থেকে উমায়ের আর বাড়িতে ফেরেননি এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় উমায়েরের মা আনার কলি সোনারগাঁ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন।রোববার দুপুরে কাজীপুরা এলাকায় নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করলে আড়াইটার দিকে তার পরিচয় শনাক্ত হয়।আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে যুবকের ভাসমান মরদেহ, পরিচয় জানে না কেউনিহতের মা আনার কলি আহাজারি করে অভিযোগ করেন, 'ঘটনার পর থেকেই সোহাগ ও বায়েজিদ পলাতক রয়েছে। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ। ওরাই আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।'গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরজিৎ কুমার ঘোষ জানান, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "এটি হত্যাকাণ্ড কি না, তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং বিস্তারিত তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে।"