ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে কিল-ঘুষি

ফরিদপুরে হেযবুত তওহীদের প্রচারণায় বাধা দেয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতাকর্মীদের কিল-ঘুষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের চর কমলাপুর জোড়া সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহতদের মধ্যে রয়েছেন-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার সাবেক সদস্য সচিব সোহেল রানা ও একই কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আরিয়ান ইসলাম কাইয়ূম। এরমধ্যে আরিয়ান ইসলাম কাইয়ূমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার চোখে গুরুতর আঘাত রয়েছে। এছাড়া পল্লব সরকার রবি, রাফসান জানি ও মোশারফ হোসেন নামে আরও তিনজন আহত হয়।এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় শহরের  চর কমলাপুর এলাকায় হেযবুত তওহীদ ফরিদপুর জেলা শাখার আয়োজনে সংগঠনের ইমাম মোহাম্মদ হোসাইন সেলিমের বক্তব্য মাইকে প্রচার করা হচ্ছিল। প্রচারের সময় ঘটনাস্থলে কিছু ব্যক্তি তাদের প্রচারে বাধা দিলে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বাধাদানকারীরা ছাত্র নেতাদের মোবাইল ফোনে ডেকে আনেন এবং পুনরায় হেযবুত তওহীদের সদস্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হয় এবং তাদের প্রচারে বাধা দেয়। তখন দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।আহত সোহেল রানা বলেন, ‘হেযবুত তওহীদ বাংলাদেশের একটি বিতর্কিত এবং নিষিদ্ধ সংগঠন। তারা ইসলাম ধর্মকে বিকৃতি করে উপস্থাপন করে আসছে। এসব নিয়ে তারা প্রচার-প্রচারণা করলে স্থানীয় মাদ্রাসা ছাত্ররা বাধা দেয় এবং খবর পেয়ে আমরা সেখানে গেলেই হামলা চালায়।’আরও পড়ুন: বহিরাগতদের হামলায় ফরিদপুর জিলা স্কুলের পুনর্মিলনীতে জেমসের কনসার্ট স্থগিতএ হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, ‘ইসলাম বিকৃতিকারী ও ফিতনাবাজ সন্ত্রাসী সংগঠন এ হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে এর বিচার করতে হবে।’এদিকে হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মাহাবুবুল আলম নিক্কন পাল্টা অভিযোগ তুলে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত দুইদিন ধরে শহরে প্রচারণা চালাচ্ছিলাম। আজ হঠাৎ করে বাধা দিয়ে মব তৈরি করে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।’ তবে আহতদের নাম তিনি জানাতে পারেননি। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। তিনি বলেন, ওই দলের সদস্যরা ফিরে এলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।