শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের জন্য আলাদা করে হাঁটার অভ্যাস না থাকলেও বাড়ির বাইরে স্কুল, কলেজ, অফিস কিংবা কোনো গন্তব্যে পৌঁছাতে কম-বেশি হাঁটা হয়েই যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন, এ হাঁটার সময় কয়েকটি বিষয় খেয়াল না করলে একাধিক শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন আপনি?ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সকালের মুক্ত বাতাসে আর মনোরম পরিবেশে প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস শরীরের জন্য উপকারী হলেও কিছু বিষয় না খেয়াল করলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। যেমন- ১। ভারী খাবার খেয়ে সকালে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হাঁটলে পাকস্থলিতে চাপ পড়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। ২। হঠাৎ হাঁটতে শুরু করলে পেশিতে টান পড়ে। তাই হাঁটার শুরুর আগে পেশি সচল করতে হালকা নড়াচড়া করুন। শরীর ডানে-বামে ঘুরিয়ে পেশি সচল করতে পারেন। ৩। হাঁটার সময় কখনই বড় বড় পা ফেলবেন না। এতে কিন্তু শ্বাস নেওয়ার সমস্যা হতে পারে। আপনার হৃদ স্পন্দনের গতি বেড়ে যেতে পারে। ৪। হাঁটতে গিয়ে যদি পায়ের জুতা ঠিক মতো না হয় তাহলে হাঁটার গতি কমে যায়। পায়ে ব্যথা অনুভব হয়। সকালে যদি হাঁটতে হয় তাহলে স্বাচ্ছন্দে ও আরামে হাঁটা যায় এমন জুতা নির্বাচন করুন। ৫। হাঁটলে ক্যালোরি খরচ হয়। যে কারণে শরীর পর্যাপ্ত পানির অভাবে দুর্বল অনুভব করে। তাই হাঁটার আগে ও পরে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ৬। হাঁটার শুরুতে ধীর গতিতে হাঁটুন। এরপর ধীরে ধীরে গতি বাড়ান। তা না হলে হৃদযন্ত্রে চাপ পড়ে। আরও পড়ুন: খালি পেটে যেসব খাবার খেলে ওজন কমে ৭। হাঁটার পর বসে কিছুটা সময় বসে বিশ্রাম নিন। তার না হলে সারাদিনই ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন। ৮। নিজের ক্ষমতার অতিরিক্ত জোরে বা দীর্ঘ সময় হাঁটলে পেশিতে চাপ পড়ে। যা শরীরে ব্যথার কারণ হতে পারে। আরও পড়ুন: সকালে ঘুম থেকে উঠেই ৪টি কাজ করুন ৯। শীতের সকালে হাঁটতে হলে অতিরিক্ত ঠান্ডায় বা কুয়াশায় বের হওয়ার সময় প্রয়োজনীয় শীতের পোশাক পরুন। এতে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি, পেশি ব্যথার ঝুঁকি এড়ানো যায়। ১০। হাঁটার পর শরীরকে নতুন শক্তি দিতে হালকা কিছু খেয়ে নিতে পারেন। তা না হলে অমনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি দুর্বল অনুভব করতে পারেন।