গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দিতে প্রস্তুত থাকলেও হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্তে রাজি নয় পাকিস্তান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।চলতি বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রস্তাব সমর্থনে করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি শান্তিরক্ষা বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পাকিস্তান শান্তিরক্ষাবাহিনীতে সেনা পাঠাবে বলে জানান ট্রাম্প। তবে এবার সেই সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে ইসলামাবাদ। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানান, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফেরাতে প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক বাহিনীতে যোগদানের ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান। তবে যদি ওই বাহিনীর ম্যান্ডেটে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্ত অন্তর্ভুক্ত থাকে, তাহলে পাকিস্তান সেই বাহিনীতে অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্টমন্ত্রী বলেন, শান্তি চুক্তির আওতায় ‘গাজা শান্তিরক্ষাবাহিনী বা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাবিলাইজেশন ফোর্স’ গঠন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। পাকিস্তান শান্তি বলবৎকরণ নয়, বরং শান্তি রক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। আরও পড়ুন: নামাজরত ফিলিস্তিনিকে গাড়িচাপা দিলেন ইসরাইলি সেনা তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নীতিগতভাবে সেনা পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিলেও, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে শর্ত পুনরায় যাচাই করা হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির যদি ট্রাম্পের সঙ্গে এই সমঝোতায় ব্যর্থ হন, তবে আন্তর্জাতিকভাবে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তখন ইসলামাবাদকে অবিশ্বাসযোগ্য অংশীদার মনে করতে পারে ওয়াশিংটন। সম্প্রতিক মাসগুলোতে আসিম মুনিরের প্রতি একনিষ্ঠ সমর্থন দেখিয়ে আসছে ট্রাম্প প্রশাসন। এছাড়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বিনিয়োগ ও সহায়তা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে এসব সহায়তা কমিয়ে দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।