‘জাহানারার জন্য জাতীয় দলের দরজা খোলা’

তীব্র শীতে উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) । এই মাতামাতির মধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে মিরপুরে শুরু হবে ক্যাম্প, যেখানে ডাক পাচ্ছেন ২০ জন নারী ক্রিকেটার। থাকছেন নতুন মুখও।নতুন ক্রিকেটারদের যেমন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে জাতীয় দলের ক্যাম্পে, তেমনি অভিজ্ঞদের প্রতিও গুরুত্ব রয়েছে। এমনকি দেশের বাইরে থাকা জাহানারা আলম বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাইলে, তার জন্যও জাতীয় দলের দরজা খোলা। বিশেষ সাক্ষাৎকারে সময় সংবাদকে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন।সময় সংবাদ : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি কবে থেকে শুরু হচ্ছে?সাজ্জাদ আহমেদ : নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ক্যাম্প শুরু হবে। মিরপুরেই হবে ক্যাম্প। ১২ তারিখে দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে নেপাল যাবে।সময় সংবাদ : কতজন খেলোয়াড় ক্যাম্পে ডাক পাচ্ছেন? নতুন কোনো মুখ আছে কি না—বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে কোনো চমক?সাজ্জাদ আহমেদ : এখনো অফিসিয়ালি ঘোষণা করিনি, তবে ২০ জন খেলোয়াড়কে ডাকার পরিকল্পনা আছে। জাতীয় দলে নতুন মুখ আসতে পারে, দু–একজন থাকতে পারে। যেহেতু এটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, আমরা একটু আলাদা ধরনের ক্রিকেট খেলতে চাচ্ছি। কিছু নতুন পরিবর্তন আসতে পারে। আরও পড়ুন: শেষ টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন ইংলিশ পেসারসময় সংবাদ : নারী ক্রিকেটে সম্প্রতি বড় একটি ঝড় বয়ে গেছে। এসব বিষয় দলে কোনো প্রভাব ফেলেছে বা ফেলবে বলে মনে হয় কি?সাজ্জাদ আহমেদ : আমার মনে হয়, অফিসিয়ালি কিছু প্রভাব পড়েছে, নারী বিভাগের ওপর প্রভাব পড়েছে। তবে খেলোয়াড়দের ওপর তেমন প্রভাব পড়েনি। খেলোয়াড়রা তাদের মতোই আছে, ভালো অবস্থানে আছে। যেহেতু এটি অফিসিয়াল বিষয়, তাই খেলোয়াড়দের ওপর খুব বেশি প্রভাব পড়েছে বলে আমার মনে হয় না। মাঠে তাদের পারফরম্যান্স, লিগে তাদের খেলার ধরন ও পারফরম্যান্স দেখে আমার কাছে মনে হয়নি যে খেলোয়াড়দের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নারী জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ শিপন। ছবি: সময় নিউজসময় সংবাদ : ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে জান্নাতুল সুমনাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এবারও কি তেমন কিছু তৈরি হতে পারে? তিনি দলে থাকছেন কি না?সাজ্জাদ আহমেদ : যেহেতু এখনো অফিসিয়ালি দল ঘোষণা করিনি, তাই এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারছি না। তবে আলোচনা হলো কি না, তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিছু যায় আসে না। যে ভালো খেলবে, সে সবসময় এগিয়ে থাকবে। যে ভালো করতে পারবে না, সে পিছিয়ে পড়বে। তারও ভালো করারও কিছু নির্দিষ্ট মানদণ্ড আছে—সেগুলো পূরণ করতে পারলেই ভালো। আরও পড়ুন: ক্রিকেটে এই বছরের আলোচিত যত মুহূর্তজাতীয় দলে সবার জন্যই দরজা খোলা। জাহানারা আলম যদি বাংলাদেশের জন্য খেলতে চায়, তাকেও স্বাগতম। তাকে শুধু নিজেকে প্রমাণ করতে হবে।সময় সংবাদ : বাছাইপর্ব পেরিয়ে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ এলে, বিশ্বকাপের আগে মেয়েদের বিপিএল হলে সেটা কতটা সহায়ক হবে?সাজ্জাদ আহমেদ : অবশ্যই সহায়ক হবে, ভীষণ রকম সহায়ক হবে। নারী বিপিএল হলে বড় সুবিধা হবে। যদি তিন বা চারটি দল করা যায়, আর সে সময় মেয়েদের আন্তর্জাতিক সূচি না থাকে। বিদেশ থেকে যদি খেলোয়াড় আনা যায়, প্রত্যেক দলে যদি চারজন করে বিদেশি খেলোয়াড় থাকে এবং সবাই ড্রেসিংরুম শেয়ার করে—তাহলে সেটা অনেক বড় অভিজ্ঞতা হবে। এতে কোনো বাধা থাকবে না। নারী বিপিএলটা হতে পারলে সত্যিই খুব চমৎকার হবে।