অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা গোলাম পরওয়ারের

আগামী জাতীয় নির্বাচন জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মিয়া গোলাম পরওয়ার।তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও সেনাবাহিনীসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে। এরপরও জনগণের প্রত্যাশিত ফ্রি, ফেয়ার ও ক্রেডিবল নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কি না—তা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর শঙ্কা রয়েছে।বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, দেশের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের আশপাশে এখনও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি রয়েছে। তারা সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং নির্দিষ্ট প্রতীকে ভোট না দিলে কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে।সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন জামায়াতের এই নেতা। তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদেরও ভয় দেখানো হচ্ছে—কেন তারা অন্য দলে ভোট দেবেন। বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জানানো হয়েছে এবং এর দায় নির্বাচন কমিশনের।মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচনকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন উল্লেখ করে তিনি নির্বাচন কমিশন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।আরও পড়ুন: তফসিলের পরও কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে: গোলাম পরওয়ার প্রধান উপদেষ্টার পূর্ববর্তী বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভোটাররা যেন ঈদের দিনের মতো উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন—সে নিরাপদ পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব সরকার ও নির্বাচন কমিশনের। ১০ দল আলোচনার মধ্য দিয়ে শিগগিরই আসন বণ্টনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রত্যাহারের দিন বাকি প্রার্থীরা প্রত্যাহার করবেন। নির্বাচনে পরিবর্তনের পক্ষে এবং হ্যাঁ ভোট দেয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন জামায়াত মনোনীত খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ার। একই সময়ে খুলনা-১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী, খুলনা-২ আসনে জাহাঙ্গীর হোসেন হেলাল, খুলনা-৪ আসনে কবিরুল ইসলাম এবং খুলনা-৬ আসনে আবুল কালাম আজাদ মনোনয়নপত্র জমা দেন।