তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াবে: বিডা চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। এটি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ‘কনফিডেন্স বুস্টার’ বা আস্থা বর্ধক হিসেবে কাজ করবে।রোববার (২৮ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।বিডা চেয়ারম্যানের মতে, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে যে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য অপরিহার্য।বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য আরও একটি সুসংবাদ দেন আশিক চৌধুরী। তিনি জানান, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (ইপিএ) সংক্রান্ত নেগোশিয়েশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।তিনি উল্লেখ করেন, “বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভিয়েতনামের ৫০টি এবং কম্বোডিয়ার ২০টি বাণিজ্য চুক্তি থাকলেও বাংলাদেশের এ সংখ্যা ছিল শূন্য। জাপানের সঙ্গে এই চুক্তির মাধ্যমে আমরা সেই ‘গোল্ডেন ডাক’ ব্রেক করতে যাচ্ছি।” আরও পড়ুন: ওয়ানস্টপ সার্ভিসেই হবে বাণিজ্যিক ভূমি নিবন্ধন, ঘোষণা বিডা চেয়ারম্যানেরবিডা চেয়ারম্যান জানান, জাপানের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে মূলত তিনটি বড় পরিবর্তন আসবে:১. জাপানি বিনিয়োগ বৃদ্ধি: গত ৫৪ বছরে জাপানি বিনিয়োগ মাত্র ৫০০ মিলিয়ন ডলার হলেও, এই চুক্তির ফলে আইসিটি, লজিস্টিকস, অটোমোটিভ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বহুগুণ বাড়বে।২. শুল্কমুক্ত সুবিধা: চুক্তি কার্যকর হওয়ার প্রথম দিন থেকেই বাংলাদেশ পোশাকসহ ৭ হাজার ৩৭৯টি পণ্যে জাপানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। বিপরীতে জাপান পাবে ১ হাজার ৩৯টি পণ্যে।৩. দক্ষ নেগোশিয়েটর দল: এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন মোকাবিলায় বিডা প্রথমবারের মতো একটি বিশেষজ্ঞ নেগোশিয়েটর দল তৈরি করছে। এরইমধ্যে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া ও তুরস্কের সঙ্গেও আলোচনা শুরু হয়েছে। পোস্টের শেষে আশিক চৌধুরী আশা প্রকাশ করেন যে, ২০২৫ সালে বিনিয়োগের যে শক্ত ভিত্তি গড়া হয়েছে, তার সুফল আগামী নির্বাচিত সরকার ভোগ করবে এবং দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।