সিলেটের ম্যাচ নেই, দর্শকও নেই

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তৃতীয় দিনের খেলা চলছে। প্রথম দুই দিনে দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকি প্রথম দিনে দর্শক সংখ্যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মনে হচ্ছিল। তবে আজ (২৯ ডিসেম্বর) সেই উন্মাদনায় কিছুটা ভাটা পড়েছে।দুপুর একটায় রংপুর রাইডার্স-চট্টগ্রাম রয়্যালসের ম্যাচ শুরুর আগে স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে শ' খানেক দর্শক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা বাড়তে শুরু করলে সেই উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে শুরু করলেও প্রথম দুই দিনের তুলনায় অনেক কম ছিল সেটা। দর্শক উপস্থিতি কম থাকার কারণ খুঁজতে স্টেডিয়ামে কর্মরত বিসিবির কয়েকজন স্টাফ ও কিছু দর্শকদের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। আলাপে জানা যায়, মোটা দাগে দুই কারণে আজ দর্শক উপস্থিতি অনেক কম। প্রথমত আজ সিলেটের কোনো ম্যাচ নেই, আর দ্বিতীয় কারণ আজ শৈত্যপ্রবাহ বেশি তীব্র।অ্যাকুওয়েদারের দেয়া তথ্যমতে, আজ সিলেটের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো সূর্য উঠতে দেখা যায়নি। ফলে খেলা শুরু করতে হয়েছে ফ্লাডলাইট জ্বালিয়ে। স্টেডিয়াম এলাকা পাহাড় ও বনভূমি বেষ্টিত হওয়ায় এখানে শীত অনুভূত হয় আরও বেশি। এটাকে একটি বড় কারণ হিসেবে দেখছেন দর্শক ও দায়িত্বরত স্টাফরা। আরও পড়ুন: ১০২ রানে গুটিয়ে গেলো চট্টগ্রামঅন্যদিকে, গত দুই ম্যাচে সিলেটের স্থানীয় দর্শকদের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি। নিজেদের ঘরের দলকে সমর্থন করতে বড় সংখ্যায় মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন তারা। আজ সেই দর্শকদের উপস্থিতি ছিল অনেক কম।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সিলেটি দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে সিলেটের ম্যাচ। অনেকেই সৌজন্য টিকিট চেয়ে থাকেন এসব ম্যাচে। আজ সিলেটের ম্যাচ না থাকায় সৌজন্য টিকিটেরও তেমন চাহিদা নেই।কালের কণ্ঠের সিনিয়র ক্রিকেট প্রতিবেদক তরিকুল ইসলাম সজলও সিলেটের খেলা না থাকাকেই দর্শকখরার একমাত্র কারণ মনে করেন। তার মতে, আবহাওয়া খারাপ থাকলেও এমন আবহাওয়ায়ও সিলেটের মাঠে প্রচুর দর্শক উপস্থিতি দেখা যায়। আসলে সিলেটের ম্যাচ না থাকাতেই এই দর্শকখরা। তবে বিসিবির হাতে বিকল্প নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি, 'সিলেটে মোট ৬ দিন খেলা। এর মধ্যে ৪ দিনই সিলেটের ম্যাচ আছে। এর বেশি ম্যাচ দিতে গেলে খেলোয়াড়দের ওপর ওয়ার্কলোড বেশি হয়ে যেতে পারে।'আরেকটি কারণও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সেটা হলো তারকা বিদেশি খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি। দক্ষিণ আফ্রিকান এস-এ টি-টোয়েন্টি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের কারণে এবারের বিপিএলে বিদেশি তারকা উপস্থিতি একদমই কম। তবে আইএল টি-টোয়েন্টি শেষ হলে তারকা ক্রিকেটার আরও বাড়তে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে।