পুলকিতের হাসির আড়ালে ‍ছিলো লড়াইয়ের গল্প

পুলকিত সম্রাট বলিউডে এসেছিলেন স্বপ্ন আর অনিশ্চয়তা নিয়ে। ধীরে ধীরে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন হাসি, আবেগ ও চরিত্রের গভীরতায়। আজ তার জন্মদিন। এই বিশেষ দিনে পুলকিত সম্রাটের জীবনের সেই পথচলার গল্প জেনে নেয়া যাক। সেখানে সাফল্যের পাশাপাশি আছে ব্যর্থতা, সমালোচনা আর ঘুরে দাঁড়ানোর সাহসের অজানা তথ্যগুলো।  দিল্লিতে বেড়ে ওঠা পুলকিত সম্রাটের অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। মুম্বাইয়ে এসে অভিনয় শেখা, অডিশন দেওয়া, প্রত্যাখ্যান সবই ছিল তার যাত্রাপথের অংশ। টেলিভিশনের মাধ্যমে অভিনয়জীবন শুরু হলেও বড় পর্দার স্বপ্ন ছাড়েননি কখনোই। বলিউডে প্রথম দিকের কাজ খুব একটা আলোড়ন তুলতে না পারলেও পুলকিত থেমে যাননি। একের পর এক ছবিতে সুযোগ পেলেও প্রত্যাশিত সাফল্য সবসময় ধরা দেয়নি। এই সময়টাতেই তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা আসে। নিজেকে প্রমাণ করার চাপ, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা আর ইন্ডাস্ট্রির কঠিন বাস্তবতার মুখে পড়েন তিনি। সব সংশয় ভেঙে দিয়ে আসে ‘ফুকরে’। এই ছবির ‘হান্টার’ চরিত্রটি পুলকিত সম্রাটকে এনে দেয় আলাদা পরিচিতি। স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়, সাবলীল কমেডি আর বন্ধুত্বের গল্পে তিনি হয়ে ওঠেন দর্শকের আপনজন। কমেডি অভিনেতা হিসেবেই শুধু নয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রমাণ করেছেন গম্ভীর চরিত্রেও নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। পুলকিত সম্রাটের অভিনয়ের বড় শক্তি তার আবেগ প্রকাশের ক্ষমতা। রোমান্টিক, সংবেদনশীল কিংবা ভেতরে ভেতরে ভাঙা এই সব চরিত্রে তিনি ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছেন। পর্দায় তার অভিব্যক্তিতে দেখা যায় বাস্তব জীবনের ছাপ, যা দর্শকের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে। পুলকিতের ব্যক্তিগত জীবনও ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্পর্কের টানাপোড়েন, বিচ্ছেদ সবকিছু পেরিয়ে তিনি নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন। এই অভিজ্ঞতাগুলোই তাকে আরও বাস্তববাদী ও পরিণত করেছে। অভিনয়েও তার প্রভাব স্পষ্ট। তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি স্থির, সংযত ও আত্মবিশ্বাসী। জেএস/এলআইএ