ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের পালাতে সহায়তার অভিযোগে ভারতে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে আটকের খবরকে গুজব বলেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ফেসবুকে নিজেদের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা জানিয়েছে তারা। এর আগে, দাবি ইউরোপপ্রবাসী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক কর্মী জুলকারনাইন সায়ের এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছিলেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে ভারতে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। তিনি লেখেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে সহায়তার অভিযোগে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ), ২৮ ডিসেম্বর ৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র দাবি করেছে। ‘আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব (আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী), তাইজুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে বাপ্পী (সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা), রাকিবুল ইসলাম (মিরপুর এলাকার ছাত্রলীগ নেতা), রুবেল (ছাত্রলীগ নেতা) এবং ফিলিপস (বর্ডার এলাকায় মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত)। হাদি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে বর্তমানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় এই অভিযান জোরদার করা হয়েছে।’ তবে সোমবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ফেসবুকের এক পোস্টে পাঁচ বাংলাদেশি আটকের খবরকে গুজব বলে দাবি করে। হাদি হত্যাকাণ্ডের কথা সরাসরি উল্লেখ না করে তারা লেখে, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট আমাদের নজরে এসেছে, যাতে বলা হচ্ছে, প্রতিবেশী দেশের একটি সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ প্রতিবেশী দেশের কয়েকজন নাগরিককে আটক করেছে। এই খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অনুরোধ, গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।’ এদিকে, গত রোববার হাদি হত্যা মামলার অগ্রগতি জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, হাদি হত্যার প্রধান দুই সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম এবং আলমগীর শেখ ভারতে পালিয়ে গেছেন। মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে ইনফরমাল চ্যানেলে যোগাযোগ করে তারা জানতে পেরেছেন, মেঘালয় পুলিশ ফয়সাল করিমকে সহায়তাকারী পুত্তি ও সামি নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এরপর তিনি পালিয়ে যাওয়ার একটি বর্ণনাও দেন। এর ঘণ্টা দুয়েক পরেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিএসএফ ও মেঘালয় পুলিশের বরাত দিয়ে ডিএমপির দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়। তবে মেঘালয় পুলিশের এমন অস্বীকার করা দাবির ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপি বলছে, গ্রেফতার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতেই মেঘালয় পুলিশের হাতে দুই সহায়তাকারী গ্রেফতারের এমন তথ্য জানানো হয়েছে। ডিডি/কেএএ/