কে ড্রামার খ্যাতি এখন বিশ্বজুড়ে। এগুলো শুধু বিনোদনের খোরাক নয়, বরং হয়ে উঠেছে মানুষের আবেগ প্রকাশের এক শক্তিশালী মাধ্যম। কে ড্রামা কখনও দর্শককে কাঁদায়, কখনোবা হাসায়। আবার কখনো দর্শক নিজের জীবনের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায় পর্দার চরিত্রগুলোর মাঝে। চলুন দেখে নেয়া যাক টাইম সাময়িকীর তথ্যমতে এই বছরের সেরা কে ড্রামা কোনগুলো।১. হোয়েন লাইফ গিভস ইউ ট্যানজারিনস: তালিকার শুরুতেই আছে ‘হোয়েন লাইফ গিভস ইউ ট্যানজারিনস’। ষাটের দশকের কোরিয়ায় দুই তরুণ-তরুণীর সাধারণ জীবনের গল্প পর্দায় তুলে এনেছেন নির্মাতা কিম উন-সিয়ক। কোনো টুইস্ট নেই, কোনো চমক নেই কিন্তু গল্পের পরতে পরতে রয়েছে স্মৃতিকাতরতা। আর তাতেই এই সাধারন গল্প হয়ে উঠেছে অসাধারণ। আইইউ আর পার্ক বো-গামের অভিনয়ে প্রেম, স্মৃতি আর হারিয়ে যাওয়ার বেদনা এতটাই মানবিক, যে চোখ ভিজে যায় অজান্তেই। আরও পড়ুন: সারাবিশ্বের সঙ্গে একই দিনে দেশের পর্দায় নতুন ‘অ্যাভাটার’২. ওয়ে ব্যাক লাভ: ২য় অবস্থানে রয়েছে প্রেম, অনুশোচনা আর শেষ সুযোগের গল্প ‘ওয়ে ব্যাক লাভ’। মাত্র ছয় পর্বের এই সিরিজ আবেগের গভীরতা ছুঁয়ে যায়। কিম মিন-হার অভিনয় সিরিজটিকে করে তুলেছে অনন্য।৩. স্কুইড গেম: বিশ্বখ্যাত সিরিজ স্কুইড গেম এর ৩য় কিস্তি রয়েছে এই তালিকার ৩য় অবস্থানে। শেষ মৌসুমেও আধুনিক পুঁজিবাদের নিষ্ঠুরতা তুলে ধরেছে ‘স্কুইড গেম’। ‘স্কুইড গেম ৩’-এ খেলোয়াড়রা আগের চেয়েও আরও ভয়ংকর খেলায় টিকে থাকার লড়াইয়ে নামে, যা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকের গায়ে কাঁটা ধরিয়ে দেয়। ৪. টেম্পেস্ট: চলতি বছরের ৪র্থ সেরা কে-ড্রামা ‘টেম্পেস্ট’। রাজনৈতিক থ্রিলার হলেও সিরিজটির প্রাণ শক্তিশালী প্রেম। জুন জি-হিউন ও গাং ডং-ওনের রসায়ন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে বাস্তবসম্মতভাবে দেখানোর সাহস—সব মিলিয়ে টেম্পেস্ট হয়ে উঠেছে দর্শকপ্রিয়।৫. আওয়ার আনরিটেন সিউল: তালিকার ৫ম অবস্থানে রয়েছে ‘আওয়ার আনরিটেন সিউল’। মানসিক অসুস্থতাকে ব্যর্থতা নয়, সাহস হিসেবে দেখার বার্তা দেয় এই সিরিজ। যমজ বোন মি-জি ও মি-রি-র জীবন বদলের গল্পে উঠে এসেছে হতাশা, শোক ও নতুন করে বাঁচার চেষ্টা। যদি আপনি এমন গল্প পছন্দ করেন, যা কিছুটা মেলোড্রামা আর রোমান্সের মিশ্রণে তৈরি, তাহলে সিরিজটি আপনার জন্যই। আরও পড়ুন: আগামীকাল সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে ‘অ্যানাকোন্ডা’ ও ‘স্পঞ্জবব’