দেখুন ২০২৫ সালে লিওনেল মেসি কত আয় করলেন!

ফুটবল মাঠে লিওনেল মেসির আর কিছু প্রমাণ করার নেই— এ কথা পুরো বিশ্বই জানে। তবু প্রতি বছরই তিনি যেন নতুন করে জানান দেন, সময় বদলালেও রাজত্ব বদলায় না। ২০২৫ সালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাঠের নৈপুণ্যের পাশাপাশি অর্থনীতির দুনিয়াতেও নিজের শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস-এর তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে লিওনেল মেসির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি মার্কিন ডলার। মাঠের পারিশ্রমিক ও মাঠের বাইরের বিজ্ঞাপন, স্পনসরশিপ এবং ব্র্যান্ড চুক্তি— সব মিলিয়েই এই বিশাল অঙ্ক। এ আয়ে তিনি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী ফুটবলার। তালিকার শীর্ষে আছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, যার আয় ছিল চোখ কপালে তোলার মতো, ২৮ কোটি ডলার। বয়স শুধু সংখ্যা, ব্র্যান্ড আরও বড় ৩৭ বছর বয়সেও মেসি শুধু ইন্টার মিয়ামির মাঠে নন, বৈশ্বিক বাজারেও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) তার উপস্থিতি যেমন লিগের চেহারা বদলে দিয়েছে, তেমনি বাণিজ্যিক দুনিয়ায় আরও শক্ত করেছে তার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডকে। বিশ্ববিখ্যাত করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো মেসির নামেই ভরসা রাখছে—যা প্রমাণ করে, সময়ের সঙ্গে তার আবেদন একটুও কমেনি। মেসির ১৩ কোটি ডলারের আয়ের বড় অংশই এসেছে মাঠের বাইরের বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে। স্পোর্টসওয়্যার, প্রযুক্তি, পানীয় এবং লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড— সবখানেই মেসির উপস্থিতি তাকে পরিণত করেছে এক চলমান বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে। ফুটবলের অর্থনীতিতে তারকারা ২০২৫ সালের ফুটবল অর্থনীতির তালিকায় মেসির পাশাপাশি আছেন আরও অনেক তারকা। করিম বেনজেমা আয় করেছেন ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার, কিলিয়ান এমবাপে ৯ কোটি ৫০ লাখ, আর্লিং হলান্ড ৮ কোটি, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ৬ কোটি, মোহাম্মদ সালাহ ৫ কোটি ৫০ লাখ এবং সাদিও মানে ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার। তরুণদের মধ্যে জুদ বেলিংহ্যাম (৪ কোটি ৪০ লাখ) ও লামিনে ইয়ামাল (৪ কোটি ৩০ লাখ) দেখাচ্ছেন ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা। এই তালিকা স্পষ্ট করে দেয়— বিশ্ব ফুটবল এখন কেবল খেলা নয়, এক বিশাল অর্থনৈতিক শক্তি। মেসির ওপরে কেবল একজন তবে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে মেসির চেয়েও বেশি আয় করেছেন একজন— এনবিএ তারকা লেব্রন জেমস। ২০২৫ সালে তার মোট আয় ছিল ১৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেস লেকার্সের সঙ্গে চুক্তি থেকে এসেছে ৫ কোটি ২৬ লাখ ডলার, আর বিজ্ঞাপন ও বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে প্রায় ৮ কোটি ডলার। খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হিসেবে লেব্রনের অবস্থানও অনন্য। মেসি ও লেব্রন— দুজনেই ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে। তবু প্রভাব, নেতৃত্ব ও অর্থনৈতিক শক্তির দিক থেকে তারা এখনো শীর্ষে। বয়স বাড়লেও তাদের নামই এখনও বাজার চালায়। সব মিলিয়ে বলা যায়, লিওনেল মেসি এখন শুধু গোল, ট্রফি বা রেকর্ডের নাম নয়— তিনি একটি অর্থনৈতিক শক্তির প্রতীক। ২০২৫ সালে তার ১৩ কোটি ডলারের আয় প্রমাণ করে, মাঠে যেমন তিনি অনন্য, মাঠের বাইরেও তেমনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী। পারফরম্যান্স, ব্যক্তিত্ব, প্রভাব ও ধারাবাহিকতা—সব দিক থেকেই মেসি এখনো ‘গ্রেটনেস’-এর আরেক নাম। ফুটবলে যেমন, তেমনি অর্থনীতির হিসাবেও। আইএইচএস/