ঢাকা-১১ আসনে নাহিদ ইসলামের মনোনয়নপত্র জমা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকা-১১ (রামপুরা- বাড্ডা-ভাটারা-হাতিরঝিল আংশিক) আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে নাহিদ ইসলামের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও যুগ্ম সদস্যসচিব তামিম আহমেদ।এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই আসন থেকে জোটের অন্যতম শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।এর আগে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টের মাধ্যমে ঢাকা-১১ আসন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন জামায়াত নেতা আতিকুর রহমান। তিনি নাহিদ ইসলামকে শুভকামনা জানিয়ে লেখেন, ‘দীর্ঘ ১০ মাস ২২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম।’চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের সিদ্ধান্তের পর থেকে এই আসনে ইসলামি আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরিতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ব্যক্তি, পরিবার ও পেশাগত দায়িত্বের ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ঢাকা-১১ আসনের মানুষের অভূতপূর্ব ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞ।’ তিনি তার সকল সহযাত্রী এবং বিশেষ করে নারী কর্মীদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও ত্যাগের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আরও পড়ুন: ঢাকা-১৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী ববি হাজ্জাজের মনোনয়ন দাখিলএই সমঝোতার প্রেক্ষাপট তৈরি হয় রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। সেখানে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান জামায়াত নেতৃত্বাধীন ৮-দলীয় জোটের সঙ্গে কর্নেল (অব.) অলি আহমদের এলডিপি এবং এনসিপি-কে যুক্ত করে মোট ১০ দলীয় জোটের ঘোষণা দেন। এই নতুন জোটের ফলেই আসন বণ্টন ও সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।একই দিন এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, এনসিপি শুরুতে এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তবে শরীফ ওসমান হাদির শাহাদত বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে গভীরভাবে পরিবর্তন করেছে। তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে এবং আধিপত্যবাদী শক্তির অগ্রযাত্রা ঠেকাতে এই মুহূর্তে বৃহত্তর ঐক্য জরুরি হয়ে পড়েছে।’ঢাকা-১১ আসনে জামায়াতের সমর্থন পাওয়ায় নাহিদ ইসলামের অবস্থান আরও সুসংহত হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।