সোমালিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাওয়া সোমালিল্যান্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইল যে স্বীকৃতি দিয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। সেই সঙ্গে সোমালিয়ার সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ‘কোনো দেশেরই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে উৎসাহ দেয়া বা সমর্থন করা উচিত নয়।’ সোমালিল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা ও বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত’ বন্ধ করার আহ্বানও জানান তিনি। তিনি স্পষ্ট করেন, বেইজিং সোমালিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বা বিচ্ছিন্নতাবাদকে সমর্থন করে না এবং আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে সোমালিয়ার পূর্ণ সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার পক্ষে রয়েছে। সোমালিল্যান্ড ১৯৯১ সালে সোমালিয়া থেকে আলাদা হয়ে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু জাতিসংঘসহ কোনো আন্তর্জাতিক শক্তি ও রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) প্রথম দেশ হিসেবে সোমালিল্যান্ডকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দেয় ইসরাইল। আরও পড়ুন: সোমালিল্যান্ড ইস্যুতে ইসরাইলকে কড়া বার্তা হুতির এরপরই সোমালিল্যান্ড বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। বিশ্বের বহুদেশ ইসরাইলি পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসরাইলের সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি আখ্যা দিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও একাধিক মুসলিম দেশ। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক, ইরান, মিসর, কাতারসহ অন্যান্য দেশ এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানায়। এদিকে সোমালিল্যান্ডে ইসরাইলের যেকোনো উপস্থিতিকে ‘সামরিক লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতিরা। গোষ্ঠীটির প্রধান আবদেল-মালিক আল-হুতি এক বার্তায় বলেছেন, ২০২৩ সালে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর লোহিত সাগরে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে হুতিরা। সোমালিল্যান্ডের উপকূলরেখা থেকে হুথিদের মূল ঘাঁটি হোদেইদাহর দূরত্ব তিনশ’ থেকে পাঁচশ’ কিলোমিটার।