বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাকি কাজ সারলেন মুশফিকুর রহিম-ইয়াসির আলী রাব্বিরা। ১৩ বল হাতে রেখে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে ৬ উইকেটে হারালো রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। রাজশাহীর লক্ষ্য বড় ছিল না, ১২৫ রানের। তবে প্রথম ওভারেই সাহিবজাদা ফারহানকে (২) বোল্ড করে ধাক্কা দেন হাসান মাহমুদ। নাজমুল হোসেন শান্ত আর তানজিদ হাসান তামিম দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ বলে ৬৫ রানের জুটিতে সে ধাক্কা সামলে নেন। শান্ত ২০ বলে ২৪ আর তামিম ২০ বলে ২৯ রান করে আউট হন। হুসাইন তালাতও ফেরেন ৩ করে। ৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে রাজশাহী। সেখান থেকে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম আর ইয়াসির আলী রাব্বি দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। মুশফিক ৩০ বলে ২৮ আর ইয়াসির ২৬ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। এর আগে বল হাতে আগুন ঝরান রিপন মণ্ডল। ৪ ওভারে একটি মেইডেনসহ মাত্র ১৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। ৮ উইকেটে ১২৪ রানেই থামে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নোয়াখালীকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় রাজশাহী। শুরুটা ভালো করলেও এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নোয়াখালী। ওপেনার হাবিবুর রহমান ৬ বলে ৫, ওয়ান ডাউন সাব্বির হোসেন ১১ বলে করেন ৬ রান। মাজ সাদাকাতের ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২৫। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকের আলী ভালো করতে পারেননি। অঙ্কন ২৭ বল খেলে করেন ২২, জাকের ৮ বলে ৬। অধিনায়ক হায়দার আলি একটু চেষ্টা করেছিলেন। ২৮ বলে ৩৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এমএমআর