যশোর-৩ (সদর) ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে শেষ দিনে সময়মতো পৌঁছাতে না পারায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থীসহ মোট ছয়জন।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা খালিদ সাইফুল্লাহ ও গণঅধিকার পরিষদের জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথাও জানিয়েছেন জেসিনা। মনোনয়ন জমা দিতে না পারা প্রার্থীরা হলেন: যশোর-৩ আসনে এনসিপির প্রার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ, যশোর-৬ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্যসচিব জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তি, খেলাফত মজলিসের হাফেজ মাওলানা মো. আব্দুল্লাহ, জেএসডির আবু মুছা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আব্দুল করিম এবং আরও একজন। এ বিষয়ে জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তি বলেন, ‘আমি, খালিদসহ বিভিন্ন আসনের ছয়জন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে টোকেন দেয়া হলেও আমার মনোনয়ন জমা নেয়া হয়নি। আমি বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে অবহিত করেছি। আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনও করব।’ আরও পড়ুন: যশোর-৪ আসনে ভোটের লড়াইয়ে বাবা-ছেলের আলাদা মনোনয়নপত্র দাখিল একই অভিযোগ করেন এনসিপির খালিদ সাইফুল্লাহও। তবে প্রার্থীদের এই অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশেক হাসান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টা। এই সময়কালে যারা মনোনয়নপত্রসহ এসেছেন, তাদের প্রত্যেকের মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হয়েছে। যশোরের ৬টি আসনে মোট ৪৭ জনের মনোনয়নপত্র জমা হয়েছে।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘একজন নারী প্রার্থী, খালিদ সাইফুল্লাহ এবং একজন মুরুব্বি এই তিনজন এসেছিলেন। কিন্তু তাদের কাছে ফরম ছিল না। আমরা তাদের তিনদফা ফরম জমা দিতে বলেছি। কিন্তু তারা ফটোকপি নেই, ফরম সম্পন্ন হয়নি এমন কথা বলে কালক্ষেপণ করেন। পরে অবশ্য তারা বলেছেন, নির্ধারিত সময় রাত ৮টা এটাই তারা জানতেন। মোট ছয়জন না, তিনজন প্রার্থীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’