মুন্সীগঞ্জের তিন আসনে ২৩ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে মোট ২৩টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে দুটি আসনে বিএনপির তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় ভোটের সমীকরণ পাল্টে যাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সৈয়দা নুরমহল আশরাফী জানান, জেলার তিনটি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে। এছাড়া মুন্সীগঞ্জ-১ এবং মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে ৭ জন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতেই বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। দলের মোট ৩ জন নেতা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মমিন আলী। অন্যদিকে, মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিন। তবে মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি। মুন্সীগঞ্জ-১ (শ্রীনগর ও সিরাজদিখান)  এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, স্বতন্ত্র হিসেবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মমিন আলী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আতিকুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর এ কে এম ফখরুদ্দিন রাজি, কমিউনিস্ট পার্টির আব্দুর রহমান এবং বিপ্লব বাংলাদেশের রোকেয়া আক্তার ইনসানিয়াত। আরও পড়ুন: সাবেক সাংসদ সুকুমার রঞ্জন ঘোষ মারা গেছেন মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি)  এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির মাজেদুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির মো. নোমান মিয়া, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আশিক মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কে এম বিল্লাল, জামায়াতে ইসলামীর এ বি এম ফজলুল করিম এবং খেলাফত মজলিসের মো. আমিনুল ইসলাম। মুন্সীগঞ্জ-৩ (সদর ও গজারিয়া)  এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির মো. কামরুজ্জামান রতন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন, কমিউনিস্ট পার্টির শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন, খেলাফত মজলিসের হাজী আব্বাস কাজী ও নূর হোসেন নূরানী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সুমন দেওয়ান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির আনিস মোল্লা, জাতীয় পার্টির মো. আরিফুজ্জামান দিদার এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ মো. শিমুল। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। যাচাই-বাছাইয়ে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তারা ৩ থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। এরপর ৭ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ৮ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে শুরু হবে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের মতো একযোগে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।