দলের সকল মূল খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েই অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মিসর। এরপরও আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে অপরাজিত থাকলো দেশটি। অঙ্গোলার বিপক্ষে না জিতলেও গোলশূন্য ড্র হয়েছে ম্যাচটি। এরপরও ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচগুলো শেষ করেছে মিসর। ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছিল মিসর। সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষ ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচের পুরো একাদশেই আনা হয় পরির্তন। বিশ্রাম দেওয়া হয় মোহাম্মদ সালাহ ও ওমর মারমুশের মতো তারকারাও। গ্রুপে তৃতীয় হয়েছে অ্যাঙ্গোলা। এখন তাদের অপেক্ষা তৃতীয় স্থান অধিকারী দলগুলোর মধ্যে তারা সেরা অবস্থানে গিয়ে শেষ ষোলোতে যেতে পারে কিনা। মাত্র দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করা অ্যাঙ্গোলার জন্য অপেক্ষাটা খুবই দুশ্চিন্তার। সোমবার গ্রুপ ‘এ’-তে কমোরোস ও জাম্বিয়া এবং মঙ্গলবার গ্রুপ ‘সি’-তে তানজানিয়া ও উগান্ডা পরাজিত হলে তবেই শেষ ষোলোতে পা রাখতে পারবে অ্যাঙ্গোলা। সোমবার মারাকেশে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ১০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন ওসউইন অ্যাপোলিস। ওই গোলেই গোলেই দক্ষিণ আফ্রিকা ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় এবং গ্রুপ বি-তে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করে। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে। যা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন মিসরের থেকে এক পয়েন্ট কম। দুই দলই চলে গেছে শেষ ষোলোতে। ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা লিডে নেয় তিনবার। যেখানে ক্যারিয়ারের প্রথম গোলের দেখা পান শেপাং মোরেমি। বাকি দুই গোল আসে লাইল ফস্টার ও অ্যাপোলিসের পেনাল্টি থেকে। তবে দলের রক্ষণভাগ নিয়ে কোচ হুগো ব্রুসকে চিন্তিত থাকতে হচ্ছে। কারণ বেশ কয়েকবার তারা সহজেই প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিয়েছে। জিম্বাবুয়ের হয়ে তাওয়ান্দা মাসওয়ানহিসে দারুণ এক গোল করে প্রথম সমতা ফেরান। এছাড়া অউব্রে মোডিবার আত্মঘাতী গোল থেকেও লাভবান হয় দলটি। আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেনি, তবুও তাদের অন্তত একটি ড্র প্রাপ্য ছিল। আইএন