নন্দিত পরিচালক জেমস ক্যামেরনের বিজ্ঞান কল্পকাহিনীভিত্তিক মহাকাব্যিক সিনেমা সিরিজ ‘অ্যাভাটার’। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এর তৃতীয় কিস্তি। এর নাম ‘অ্যাভাটার : ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ছবিটি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দুই সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী ৭৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে সিনেমাটি। আসছে সপ্তাহের মধ্যভাগেই সিনেমাটি ১ বিলিয়ন ডলার আয় করবে বলে প্রত্যাশা সিনেমাপ্রেমীদের। বড়দিনের ছুটির সময়কাল ধরে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সিনেমাটি আয় করেছে ১৮১.২ মিলিয়ন ডলার এবং সামগ্রিক বিশ্বজুড়ে আয় হয়েছে ২৪৫.২ মিলিয়ন ডলার। এই আয় আন্তর্জাতিক মুক্তির প্রথম সপ্তাহের তুলনায় মাত্র ২৫ শতাংশ কম।আরও পড়ুনটাইটানিকের নায়িকার প্রথম ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কেটেছে মেয়েদের সঙ্গেবাংলাদেশে দীপু দাসকে পুড়িয়ে হত্যার নিন্দা জানিয়ে কটাক্ষের মুখে জাহ্নবী উত্তর আমেরিকায় সিনেমার আয় ২১৭ মিলিয়ন ডলার, আর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫৪২ মিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক বাজারে চীনের অবদান সবচেয়ে বেশি। সেখানে আয় হয়েছে ৯৯.৬ মিলিয়ন ডলার। ফ্রান্সে আয় হয়েছে ৫৪.৪ মিলিয়ন, জার্মানিতে ৪৩.১ মিলিয়ন এবং কোরিয়ায় ৩২.১ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ‘অ্যাভাটার: আগুন ও ছাই’ ২০২৫ সালের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ আয়কারী হলিউড সিনেমা হিসেবে তালিকায় অবস্থান করছে। আগামী সপ্তাহগুলোতে এটি আরও বড় হিট যেমন ‘ডেমন স্লেয়ার: ইনফিনিটি কাসল’, ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড: পুনর্জন্ম’ এবং ‘এ মাইনক্রাফট মুভি’-কে ছাড়িয়ে যেতে পারে। আশা করা হচ্ছে ‘অ্যাভাটার ৩’ ২০২৫ সালের তৃতীয় সিনেমা হিসেবে ১০০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে চলতি বছরে ‘লিলো ও স্টিচ’ এবং ‘জুটোপিয়া ২’ এই রেকর্ড গড়েছে। ডিজনির অন্য ব্লকবাস্টার ‘জুটোপিয়া ২’ মুক্তির পঞ্চম সপ্তাহেও আন্তর্জাতিকভাবে ৬৭.২ মিলিয়ন ডলার এবং বিশ্বব্যাপী ৮৭.৯ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। সিনেমার মোট আয় এখন ১.৪২ বিলিয়ন ডলার। এছাড়াও ইউনিভার্সালের বড় বাজেটের সংগীত চলচ্চিত্র ‘উইকড: ফর গুড’ ৫০০ মিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। সিনেমাটি আন্তর্জাতিকভাবে ১৭২ মিলিয়ন এবং বিশ্বব্যাপী আয় হয়েছে ৫০৩.৯ মিলিয়ন ডলার। এই আয় প্রযোজকের বিনিয়োগের তুলনায় যথেষ্ট লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ২০২৪ সালের ‘উইকড’ এর আয় ৭৫৮ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম। এলআইএ