কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় টানা তৃতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে হাওর অধ্যুষিত এই উপজেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।বেলা সাড়ে ১১টায় আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এদিন সারাদেশের মধ্যে নিকলীতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। এর আগে রোববার এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সোমবার ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নিকলী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম মাসুম জানান, আগামীকাল বুধবার শীতের তীব্রতা সামান্য বাড়তে পারে। জেলার ওপর দিয়ে বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসজুড়েই শীতের প্রভাব থাকবে এবং শীতের অনুভূতি কমার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও জানান, আগামীকাল তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। আরও পড়ুন: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিশোরগঞ্জে এদিকে তীব্র শীতে সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। শৈত্যপ্রবাহের মধ্যেই প্রচণ্ড শীতে হাওরে বীজতলা তৈরির কাজ করছেন শত শত কৃষক। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. সাদিকুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান তাপমাত্রায় ফসলের খুব একটা ক্ষতি হবে না। তবে তাপমাত্রা আরও নেমে গেলে হাওরের বীজতলা এবং শাক-সবজির ক্ষতি হবে।’