ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট, মুকাল্লা বন্দরে একটি সীমিত সামরিক অভিযান চালিয়েছে। যাকে তারা বিদেশি সামরিক সহায়তা বলে উল্লেখ করেছে। হাদরামাউত প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী দক্ষিণ ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (এসটিসি) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার সতর্ক করার কয়েকদিন পর এই হামলা চালানো হলো।সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে জোট বিমান বাহিনী সামরিক অভিযান চালায়। আরও পড়ুন:ইসরাইলের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান হিজবুল্লাহর জোটের মুখপাত্র তুর্কি আল-মালকি বলেছেন, শনিবার ও রোববার জোটের অনুমোদন ছাড়াই দুটি জাহাজ মুকাল্লা বন্দরে প্রবেশ করে, তাদের ট্র্যাকিং সিস্টেম অক্ষম করে এবং এসটিসিকে সহায়তা করার জন্য প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও যুদ্ধযান ‘আনলোড’ করে। এদিকে, মঙ্গলবার বিমান হামলার পর সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ‘প্রেসিডেনশিয়াল পরিষদের’ প্রধান রাশাদ আল আলীমি বলেছেন যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমস্ত বাহিনীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইয়েমেন ত্যাগ করতে হবে। এসপিএ আরও জানিয়েছে,‘এই অস্ত্রের কারণে সৃষ্ট বিপদ এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ... জোট বিমান বাহিনী মঙ্গলবার সকালে আল-মুকাল্লা বন্দরে দুটি জাহাজ থেকে আনলোড করা অস্ত্র এবং যুদ্ধ যানগুলোকে লক্ষ্য করে একটি সীমিত সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে।’অন্যদিকে, দুটি সূত্র রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে যে, বিমান হামলাটি বিশেষভাবে সেই ডকটিকে লক্ষ্য করে করা হয় যেখানে পণ্য খালাস করা হয়েছিল। জোট জানিয়েছে, এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, অভিযানটি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে পরিচালিত হয়েছিল। এই মাসের শুরুতে জোট সমর্থিত ইয়েমেনি সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে এসটিসির আক্রমণের পর তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এই হামলা চালানো হলো। আরও পড়ুন:সিরিয়ায় একাধিক শহরে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বহু হতাহতসৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী খালিদ বিন সালমান আল সৌদ এক্স-এ পোস্ট করেছেন, এসটিসি সৈন্যদের উচিত দুটি আঞ্চলিক গভর্নরেট শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সংযম এবং অব্যাহত কূটনীতি অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা