শীতকালে অ্যালার্জি বাড়ার ৬ কারণ

শীতকালে অনেকের অ্যালার্জি বেড়ে যায়—এর পেছনে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক ও পরিবেশগত কারণ রয়েছে। এ সমস্যাকেই সাধারণভাবে বলা হয় শীতকালীন অ্যালার্জি বা উইন্টার অ্যালার্জি। এটি কোনো নতুন বা আলাদা রোগ নয়; বরং শীতকালে আমাদের জীবনযাপনের ধরন ও ঘরের পরিবেশের পরিবর্তনের ফল।দেখে নিন শীতকালে অ্যালার্জি বাড়ার প্রধান কারণগুলো-১. শুষ্ক ও ঠান্ডা বাতাস: শীতের বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। এতে নাক, গলা ও শ্বাসনালির ভেতরের আস্তরণ শুকিয়ে যায়, ফলে অ্যালার্জেন সহজেই আক্রমণ করে।২. ঘরের ভেতরে বেশি সময় থাকা: শীতে জানালা-দরজা বন্ধ থাকে। ফলে ধুলাবালি, ডাস্ট মাইট, ছত্রাক (মোল্ড), পোষা প্রাণীর লোম, এসবের সংস্পর্শ বেশি হয়, যা অ্যালার্জি বাড়ায়।৩. ঠান্ডাজনিত সংক্রমণ: শীতে সর্দি-কাশি ও ভাইরাল সংক্রমণ বেশি হয়। এতে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে অ্যালার্জি তীব্র হয়। আরও পড়ুন: শীতে কখন গোসল করা উচিত?৪. ত্বক ও শ্লেষ্মা ঝিল্লি শুষ্ক হওয়া: শুষ্ক ত্বক ও নাকের ভেতরের অংশ অ্যালার্জেনের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা হারায়।৫. ধোঁয়া ও দূষণ বৃদ্ধি: শীতে কুয়াশা ও বায়ুদূষণ বেশি থাকে। যানবাহনের ধোঁয়া ও ধূলিকণা অ্যালার্জির উপসর্গ বাড়িয়ে দেয়।৬. উষ্ণ কাপড় ও কম্বল: পুরোনো কম্বল, লেপ বা সোয়েটারে জমে থাকা ধুলা ও মাইট অ্যালার্জির বড় কারণ। আরও পড়ুন: ওষুধ ছাড়াই মাইগ্রেনের ব্যথা কমায় যেসব খাবারকারা বেশি ভোগেন?১. হাঁপানি রোগী২. শিশু ও বয়স্করা৩. যাদের সাইনাস বা নাকের অ্যালার্জি আছে