‘খেলোয়াড় হিসেবে যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার, তার সময়ে পেয়েছিলাম’— খালেদা জিয়ার স্মৃতি রোমন্থন করে বুলবুল

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্রীড়াঙ্গনও এর বাইরে নয়। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের দুই বড় সংস্থা বিসিবি ও বাফুফে আজকের সব ম্যাচ স্থগিত করেছে। বিকেলের দিকে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এসে খালেদা জিয়ার স্মৃতি রোমন্থন করেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।সিলেটে চলছে বিপিএল। আজ হওয়ার কথা ছিল দুটো ম্যাচ। তবে খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে স্থগিত করা হয়েছে দুটো ম্যাচই। এ কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শকদের রোষের মুখেও পড়তে হয় বিসিবিকে। স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশপথের বাইরে ক্ষুব্ধ দর্শকরা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে দুপুরের দিকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এসে শেষমেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিকেলের দিকে স্টেডিয়ামে আসেন বিসিবি সভাপতি বুলবুল। এসময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সদ্য প্রয়াত খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, ‘১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফিতে যখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, তখন আমাদের কয়েকটা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। সেই সংবর্ধনার অংশ হিসেবে তৎকালীন বিএনপি একটা সংবর্ধনা দিয়েছিল মিন্টু রোডে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমি সহ-অধিনায়ক ছিলাম তখন। ডায়াসে উঠে বক্তৃতা দেওয়ার এক পর্যায়ে একটা ভুল বক্তব্য দিয়েছিলাম, তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আমি বলেছিলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। বলার পর পুরো স্টেজ চুপ হয়ে ছিল।  আমি সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভুল স্বীকার করে বলেছিলাম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আইসিসি ট্রফির যতগুলো অনুষ্ঠান ছিল, ওটাই আমার শেষ অনুষ্ঠান ছিল।’ আরও পড়ুন: বিপিএলের স্থগিত ম্যাচ আগামীকাল খালেদা জিয়ার কাছ থেকে জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার পাওয়ার কথা উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন বিসিবি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে সার্কের যেসব ইভেন্ট হতো, সেখানে আমরা ভালো খেললে তিনি আমাদের অফিসে দাওয়াত দিতেন। জীবনের সবচেয়ে বড় যে পুরস্কার, রাষ্ট্রীয় পুরস্কার, সেটা আমার গলায় তিনি পরিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা সকলেই তার বিদায়ে শোকাহত। আল্লাহ তার আত্মাকে শান্তি দিক, তাকে বেহেশত নসিব করুক। তার পরিবার-পরিজনকে এই শোক বহনের ক্ষমতা দেন।’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথোপকথনের স্মৃতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে দুবার কথা হয়েছে। একবার যখন মেডেল পেয়েছিলাম। তখন আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। আরেকবার, আইসিসি ট্রফির ওই সংবর্ধনার পর আমাদের ডিনারে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে খেলাধুলা নিয়ে কথা হয়েছিল।’ আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন তামিম-মুশফিকসহ আরও যারা খালেদা জিয়ার ক্রীড়াবান্ধব মানসিকতার কথা জানাতে গিয়ে বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট আজকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ সবসময় সব সরকারই সমর্থন করেছিল। সেই সময়টার  (খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন) কথা বেশি মনে পড়ছে— ২০০৪ সালে বাংলাদেশ একটা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। তখন বেশকিছু ভেন্যু তৈরি হয়েছিল। এর মধ্যে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামও একটা। আমি তখন খেলোয়াড় ছিলাম, যতটুকু জানতাম, খেলোয়াড় হিসেবে যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ছিল, তার সময়ে পেয়েছিলাম।’