দিনাজপুরের মেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দিনাজপুরবাসী শোকে মুহ্যমান। বেগম খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়িতে তার আত্মীয়-স্বজন, পরিচিত শুভাকাঙ্ক্ষী এবং দলীয় লোকজন ভিড় করছেন।তার মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই বালুবাড়ির পৈতৃক বাড়ি ‘তৈয়বা ভিলায়’ চলছে কোরআন খতম। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা তার আত্মার শান্তি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করছেন। ২০০৬ সালে ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ দিনাজপুর সফর করেনদিনাজপুর শহরের বালুবাড়িতে দ্বিতল বিশিষ্ট তৈয়বা ভিলায় এখন আর কেউ থাকেন না।বাবা ইসকান্দার মির্জা ও মা তৈয়বা মজুমদারের মোট পাঁচ সন্তান। বেগম জিয়া দিনাজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। এই বাড়িতেই তাদের বেড়ে উঠা। সবাই তাকে পুতুল নামেই চিনতেন। বাড়িটির দোতলায় বেগম খালেদা জিয়ার মা-বাবা যে রুমে থাকতেন সেটি তালা বন্ধ অবস্থায় রাখা হয়েছে। তবে একমাত্র ভাই সাঈদ এস্কান্দার বাড়িতে অবস্থান করেন। চারটি রুম বাবা-মা ও ভাই-বোন সবার ছবি টাঙানো রয়েছে। এই বাড়িটি এখন একজন কেয়ারটেকার (মহিলা) দেখাশোনা করেন।আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জানাজায় মোতায়েন থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজার সদস্যদিনাজপুর পৌরসভার মতিউর রহমান বিপ্লব ও রেহাতুল ইসলাম খোকা জানান, বাংলাদেশ একজন অভিভাবককে হারালো, দিনাজপুরবাসীও আজ মাতৃহীন হলো।এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার খালাতো ভাই আবু তাহের এবং বোন পারভিন লাকি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘খালেদা আপা আমাদের খুব প্রিয় ছিলেন। তিনি নিরহংকার মানুষ ছিলেন। তার শৈশব কৈশোর শহরের এই বালুবাড়ির তৈয়বা ভিলায় কেটেছে। আমার বোন দিনাজপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এবং সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা করেছেন।উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ দিনাজপুর সফর করেন।