রাশিয়ার গোলাবর্ষণ, উত্তর সীমান্তের সব গ্রাম খালি করার নির্দেশ ইউক্রেনের

রাশিয়ার গোলাবর্ষণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠা উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ইউক্রেনের এই চেরনিহিভ অঞ্চলটি রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী। সেখানে একের পর এক রুশ হামলার প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে চেরনিহিভ অঞ্চলের প্রধান ভিয়াচেস্লাভ চাউস বলেন, প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের বৈঠকে সীমান্তবর্তী ১৪টি গ্রাম থেকে বাধ্যতামূলকভাবে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকা প্রতিদিনই গোলাবর্ষণের শিকার হচ্ছে। বাস্তব ও গুরুতর হুমকি থাকা সত্ত্বেও এখনও সেখানে প্রায় ৩০০ মানুষ বসবাস করছেন। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ও দ্রুত সময়ের মধ্যেই নির্ধারিত গ্রামগুলো থেকে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। এর আগে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বাসভবন লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় ক্রেমলিন। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) এ হামলা চালানো হয় বলে জানান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। তিনি এ হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছেন। তবে কিয়েভ এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। লাভরভ বলেন, রাশিয়ার নভগোরোদ অঞ্চলে এ হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলার ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চলমান শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করা হবে। হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই হামলার জবাবে রুশ বাহিনী পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্র: এএফপি এসএএইচ