বাবার বাড়িতে বেগম জিয়ার জন্য কোরআন খতম

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে বাবার বাড়ির দিঘির পাশে শ্রীপুর দারুসুন্নাত হিফজুল কোরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানা। খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে কোরআন খতম শেষে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।পরিবার সূত্র জানায়, সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে মসজিদ এবং মাদ্রাসায় কুরআন খতম, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় দোয়া পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা ওয়াহিদুর নবী।খালেদা জিয়ার চাচাতো ভাই শামীম মজুমদার বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের একমাত্র আপোষীর নেত্রী ছিলেন। এরপর বাংলাদেশ এরকম নারী নেতৃত্ব আর হবে কিনা সন্দেহ রয়েছে। তিনি ফেনীকে খুব ভালবাসতেন। প্রায় দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উনি বেঁচে থাকলে তিনি হতেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ফেনীর উন্নয়নের কথা নিয়ে মানুষকে আর চিন্তা করতে হত না। তারেক জিয়াও যদি তার নানার এলাকা ফেনীকে স্মরণ রাখেন তাহলে ফেনীর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে না।জানা গেছে, সবশেষ ২০০৮ সালেও ফেনীর ফুলগাজীতে বাবার বাড়িতে এসে দাদা সালামত আলী মজুমদারের কবর জিয়ারত করে শুরু করেন নির্বাচনী প্রচারণা। খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে আজ সেই বাড়িতেই নেমে এসেছে রাজ্যের নীরবতা কাঁদছেন বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা।আরও পড়ুন: ফেনীর আকাশে শোকের মেঘ, চিরবিদায় শ্রীপুর মজুমদার বাড়ির মেয়ে খালেদা জিয়ারপরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়ির পাশেই দীঘির মাছ খুব পছন্দ করতেন বেগম জিয়া ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পরে হেলিকপ্টার যোগে ফেনীতে আসেন তিনি। তাকে বহন করা হেলিকপ্টারটিকে আধাঘন্টা দাঁড় করিয়ে দিঘির মাছ নিয়ে ঢাকায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও বাড়ির প্রতিটি ধুলি কনার সাথে মিশে আছে বেগম জিয়ার হাজারো স্মৃতি। বাড়ির পাশে সানবাঁধানো ঘাটে বসে গল্প করতেন ভাইদের সাথে। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও খুব সাদাসিদে জীবনযাপন করতেন তিনি।নিজ পৈত্রিক নিবাসে জনসাধারণের জন্য বেগম জিয়া নির্মাণ করেছেন মাদ্রাসা, মসজিদ স্কুল কলেজসহ বহু স্থাপনা। বেগম জিয়ার মৃত্যুতে ফুলগাজীসহ ফেনী জেলা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।