সাধারণ একজন গৃহবধূ থেকে রাজনীতির জটিল মঞ্চে পা রেখেছিলেন খালেদা জিয়া। গত শতকের আশির দশকে বিএনপি চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন তিনি। এরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। ৮০ বছর পেরিয়ে চিরতরে বিদায় নিলেন খালেদা জিয়া।বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ও পারিবারিক জীবনের ছবি দীর্ঘ সময় ধরে তুলে আসছিলেন আলোকচিত্র সাংবাদিক মো. লুৎফর রহমান বীনু। তার রচিত ‘গণতন্ত্রের সংগ্রাম’ বইয়ে প্রকাশিত ছবিতে উঠে আসে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম।১৯৭৯ সালে স্বামী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়া। ১৯৮১ সালে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর রাজনীতিতে পা রাখেন খালেদা জিয়া। তারপর আমৃত্যু বিএনপির চেয়ারপারসন ছিলেন তিনি। রাজনীতিতে নামার পর ১৯৮২ সালে প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন খালেদা জিয়া। ১৯৮২ সালে রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার তখন উন্মেষকাল। বিজয় দিবসে বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেন তিনি। ১৯৮৭ সালে বিএনপি কার্যালয়ে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়া। তারেক রহমান এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আশির দশকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে খালেদা জিয়া। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ছিল তিন জোটের ঢাকা অবরোধ। তার পরদিন রাজধানীর হোটেল পূর্বাণী থেকে খালেদা জিয়াকে আটক করে পুলিশ। ১৯৮৮ সালে বন্যায় ডুবে গিয়েছিল গোটা দেশ। তখন দুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণে বেরিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ১৯৯০ সালের অক্টোবরে রাজধানীর গুলিস্তানে বিএনপির সমাবেশে খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনের আগে প্রচারে সারা দেশ চষে বেড়িয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালে নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হলে ‘ভি’ চিহ্নে তা প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালে নির্বাচনে জয়ের পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জনসভায় ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে খালেদা জিয়া। ২০০১ সালে নির্বাচনে জয়ের পর তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন খালেদা জিয়া। ২০০১ সালে সরকার গঠনের পর জাতীয় সংসদে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ২০০৪ সালে ঈদের দিনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে খালেদা জিয়া।