সদ্য প্রয়াত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লাড়াইকে ধারণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গিয়ে সংবাদকিদের সঙ্গে আলাপকালে এই কথা জানান তিনি। নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘‘বেগম জিয়া অনেকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। আমরা দোয়াও জানিয়েছিলাম, যাতে তিনি এবারও সুস্থ হয়ে ওঠেন। কারণ, বাংলাদেশ যে সংকটকালীন মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন করে যে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে, এ সময়ে তিনি জাতির অভিভাবক ছিলেন। আমাদরে এই ক্রান্তিকালে তার উপস্থিতি অনেক প্রয়োজন ছিল।’ বেগম জিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব সংগ্রামে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেখে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন পর্যন্ত তার আপসহীন যে মনোভাব ও দৃঢ়তা ছিল, সেটা দেশের গণতন্ত্রকামী ও মুক্তিকামী মানুষকে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষার্থে অধিপত্যবাদ মুক্ত করতে এবং গণতন্ত্রের জন্য চব্বিশের প্রজন্ম আবারও যে লড়াই শুরু করেছে, সেই লড়াইয়ে বেগম জিয়া অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’ আরও পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বেগম জিয়ার অবদান চিরস্মরণীয়: এনসিপি এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘তার লড়াইকে ধারণ করেই আমরা বাংলাদেশকে পুর্নগঠন করব।’ ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ফয়জুল করীম বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের মানুষ শোকাহত। আমরা বেগম জিয়ার জন্য দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করেন।’ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সবচেয়ে বেশি সম্মান নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুক।’