মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের হামলার হুমকির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি নতুন করে আগ্রাসন চালায়, ইরান তার কঠোর জবাব দেবে। খবর আল জাজিরার।সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ইরানে নতুন করে হামলার হুমকি দেন ট্রাম্প। বলেন, ইরান যদি আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক কর্মসূচি শুরুর চেষ্টা করে, তাহলে দেশটিতে নতুন করে বড় ধরনের সামরিক হামলা চালানো হবে। ট্রাম্প বলেন, গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াবহ বিমান হামলার পর তেহরান সম্ভবত গোপনে তাদের অস্ত্র কর্মসূচি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে। তার কথায়, ‘আমি খবর পাচ্ছি, তারা আবারও অস্ত্র ও সরঞ্জাম মজুত করছে। তারা ঠিক কোথায় কী করছে, তা আমাদের নখদর্পণে। আমি আশা করি, তারা এমন কিছু করবে না। কারণ, আমি আরেকটি বি-২ যুদ্ধবিমানের জ্বালানি নষ্ট করতে চাই না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, তেহরান যদি দূরপাল্লার অস্ত্র তৈরি অব্যাহত রাখে, তাহলে তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিতে ‘অবিলম্বে’ এবং এর ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোতে ইসরাইলি হামলাকে সমর্থন করবেন। আরও পড়ুন: পাল্টা জবাব ইরানের, কানাডার নৌবাহিনীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ঘোষণা একদিনেরও কম সময়ের মধ্যে ট্রাম্পের হুমকির জবাব দিলো তেহরান। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক এক্স বার্তায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে ‘কঠোর ও অনুশোচনাপ্রদ’। পরমাণু ইস্যুতে পরোক্ষ আলোচনার মধ্যে চলতি বছরের ১৩ জুন বিনা উসকানিতে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইল। জবাবে ইরানও ইসরাইলজুড়ে পাল্টা ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে। একপর্যায়ে ২২ জুন আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করে তিনটি ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ওই সংঘাতে জড়ায়। পরে ইসরাইলের পাশাপাশি কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল উদেইদ বিমানঘাাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাতেই ২৪ জুন ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। আরও পড়ুন: আমিরাতের সঙ্গে যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি বাতিল ইয়েমেনের ১২ দিনের ওই সংঘাতে ইরানে সহস্রাধিক মানুষ নিহত হন। যাদের মধ্যে সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং বেসামরিক নাগরিকও আছেন।অন্যদিকে ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং ২৮ জন নিহত হন।