দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ২ নেতাকে বহিষ্কার

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নারায়ণগঞ্জ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কার আদেশের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।বহিষ্কৃতরা হলেন: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এবং দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য ফতুল্লার আলোচিত ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহ আলম।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বহিষ্কৃতদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ও সাংগঠনিক নীতিমালা অমান্য করে কর্মকাণ্ড পরিচালনার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।বিএনপির বহিষ্কৃত এই দুই নেতা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থীর বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গতকাল সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) জেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এতে দলীয়ভাবে বেশ সমালোচিত হয়েছেন বিএনপির এই দুই নেতা।আরও পড়ুন: ‘নুরের বিপক্ষে’ মনোনয়নপত্র দাখিল করায় বিএনপি থেকে মামুনকে বহিষ্কার২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় ঐক্য জোট থেকে মনোনীত হয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের বিপরীতে নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৪ নম্বর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন গিয়াসউদ্দিন।২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিও হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশে সেই কমিটি ভেঙে দিয়ে জেলার আহ্বায়ক কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য করা হয়। তবে বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।অন্যদিকে, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান শাহ আলম। নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন তিনি।