ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালে গুলিবিদ্ধ শফিকুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছেন। গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়। শফিকুল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় গ্রামের আব্দুল সামেদের ছেলে। বর্তমানে পরিবারটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীতে বসবাস করে। শফিকুল গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা। পারিবারিক সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ডান উরুতে গুলিবিদ্ধ হন শফিকুল। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে পাঠাতে সব কাগজপত্রের ব্যবস্থা করলেও তিনি যেতে রাজি হননি। সম্প্রতি জ্বর ও শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শফিকুলের ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, সম্প্রতি গুলির স্থানে সংক্রমণ হলে শফিকুলের জ্বর আসে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি নিউমোনিয়া ও সংক্রমণের কারণে মারা গেছেন। হালুয়াঘাটের জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন, শহীদ শফিকুলের জানাজা বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শহীদ ও আহত সেলের সমন্বয়কারী আল নূর মোহাম্মদ আয়াস বলেন, দেড় বছর পরও শহীদের তালিকা বড় হচ্ছে। কিন্তু হাসিনার চালানো হত্যা এখনো বন্ধ হয়নি। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধা শফিকুল গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করবো।’ এ বিষয়ে হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলিনুর রহমান বলেন, মরদেহ যথাযথ মর্যাদায় দাফন করা হবে। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কামরুজ্জামান মিন্টু/একিউএফ