সবচেয়ে বড় আসনে দুর্ভোগের শেষ নেই বাসিন্দাদের, নানা পরিকল্পনা প্রার্থীদের

খানাখন্দে ভরা সড়ক, রাস্তা দখল করে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা-চাঁদাবাজি, মাদকাসক্তি ও পরিবেশ দূষণের মতো নানা সমস্যায় জর্জরিত জাতীয় সংসদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী আসন ঢাকা-১৯। প্রতিকার চায় জনগণ, নির্বাচনকে ঘিরে সমস্যা সমাধানে নানা পরিকল্পনা প্রার্থীদের।জাতীয় সংসদের সর্ববৃহৎ আসন ঢাকা-১৯। সাভার উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সাভার সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে ভোটার ৯ লাখের ওপরে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, পোশাক শিল্পনগরী, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কারণে এই অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে, বিশাল এই জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগের শেষ নেই। আশুলিয়া জামগড়া এলাকায় প্রধান সড়কে কাজ চললেও ভেতরের সড়কগুলোর অবস্থা বেহাল। আসনজুড়ে আবাসিক এলাকার রাস্তাগুলোতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭: অভিজাত এলাকা হলেও চরম ভোগান্তিতে বাসিন্দারা এছাড়াও সড়ক দখল করে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসানোয় তীব্র যানজট নিত্যদিনের চিত্র। পোশাক কারখানার প্রসারের কারণে কমেছে খেলার মাঠ। বেড়েছে মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। আসন্ন ক্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন নতুন করে আশার আলো সঞ্চার করছে সাধারণ মানুষের মনে। সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. সালাউদ্দিন বাবু বলেন, আসনের প্রধান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে স্থায়ী সমাধানের পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তুলে ধরবেন নির্বাচনী ইশতেহারে। ডা. সালাউদ্দিন বাবু বলেন, মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দিরের উন্নয়ন হলো কমন জিনিস। এগুলো অতীতে ছিল, এখনও আছে--সেটা তো করতেই হবে। নতুন যে সমস্যাগুলো এখন খুব প্রকট, সেটার মধ্যে এক নম্বরে হলো মাদক। কিন্তু সেটা আমরা করতে দেব না। ফুটপাত থেকে টাকা নেবে, সেটা আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করবো না। ‘ইচ্ছা করলেই সরকার সবাইকে চাকরি দিতে পারবে না। তবে তাদেরকে ট্রেনআপ করতে হবে। ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আমরা করতে চাই। সেই পরিকল্পনা আমি সাজাচ্ছি’, যোগ করেন বিএনপি মনোনীত এ প্রার্থী। আরও পড়ুন: অস্বস্তি আর বিড়ম্বনার অপর নাম ঢাকা-১৬ এদিকে, ১৯ আসনের মানুষ নতুন রাজনীতি চায় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকা- ১৯ আসনের ভাই ও বোনের একটা পরিবর্তন চাচ্ছে। বিগত সময়ে তারা সব কিছু দেখেছেন। পরে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন মানুষ দেখেছেন। তারা এখন একটা পরিবর্তন চাচ্ছেন। এই আসনে প্রাথমিকভাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল মাহমুদ শান্তকে মনোনয়ন দেয়া হলেও জামায়তের সঙ্গে জোটবদ্ধের পর তিনি স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দেন।