নিস্তব্ধ শোকের সকাল। নেতাকর্মীদের আহাজারি। হাহাকার, কান্না ও শূন্যতা। শূন্যতা যেন অনেকটা আকাশ ছুঁইছুঁই। দেশের রাজনীতিতে সেই শূন্যতায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক। এভারকেয়ারের সামনেও ভোরে সেই আপনজন হারানোর শূন্যতাই যেন ভর করেছিল। তবে সকালের আলো ফুটতেই বেড়েছে নেতাকর্মীদের ভিড়। বেড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি নজরদারিও। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এ চিত্র দেখা গেছে। চিরদিনের মায়া ত্যাগ করে, কোটি সমর্থকদের শূন্য করে গতকাল ভোরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির চেয়ারপার্সনের জানাজা আজ দুপুরে। দাফন সম্পন্ন হবে বিকেলের দিকে। জানাজায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আসছেন। রাত থেকেই আসছেন সাধারণ মানুষও। এভারকেয়ার থেকে গিয়ে জানাজায় অংশ নেওয়া কিছুটা কষ্টের হলেও এখানেও নেতাকর্মীদের ভিড় রয়েছে। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নেতাকর্মীরা অপেক্ষা করছেন। অনেকেই ভোরে এসেছেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে। কেউবা রাত থেকেই অপেক্ষা করছেন। এভারকেয়ারের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিও বেড়েছে। ঢাকা জেলার সাবেক ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাভার থেকে আসা সজীব রায়হান গতরাত থেকে এভারকেয়ারের সামনে অপেক্ষা করছেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে এসেছি। জিয়া উদ্যানে এসেছিলাম। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমি খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি। তার রাজনীতি পছন্দ করি। উনি যখন গ্রেফতার হন ২০১৮ সালে, তখন হাতে ট্যাটু আঁকাই। গতরাত থেকে অপেক্ষা কারছি। ম্যাডামকে শেষবারের মতো একবার দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের বুকে হাহাকার বয়ে যাচ্ছে। সিলেট থেকে সকাল ৬টায় এসেছেন দিয়াউল হক রেজা। রেজা বলেন, আমরা চারজন রাত ১০টায় রওনা দেই। সকালে এখানে এসেছি। নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও উনার জানাজায় অংশ নিতে। এখানে এসেছি যদি দেখতে পাই, জানি দেখতে পাবো না। তারপরেও এসেছি। আর এখান থেকে গিয়েই জানাজায় অংশ নেবো। ইএইচটি/এমআরএম/এএসএম