টানা চারদিন পর পঞ্চগড়ে ঝলমলে রোদ

শীতের জেলা পঞ্চগড়ে টানা চারদিন পর অবশেষে সূর্যের দেখা মিলেছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ঝলমলে রোদে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। চারদিন ধরে হালকা কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে জেঁকে বসেছিল কনকনে শীত। রাতভর টিপটিপ করে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। বুধবার সকাল ৯টায় রাতের (সর্বনিম্ন) ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি। দিনের (সর্বোচ্চ) তাপমাত্রা কমে ১৬ দশমিক ২ থেকে কমে রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিনদিনের মতো মঙ্গলবারও দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। ঘন কুয়াশা না থাকলেও দিনভর হালকা কুয়াশার সঙ্গে মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছিল আকাশ। উত্তরের থেকে বেয়ে আসা হিমশীতল বাতাসের কারনে হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবনে শুরু হয় স্থবিরতা। বুধবার সকাল থেকেই ঝলমলে রোদে কর্মচাঞ্চল্য ফেরে খেটে খাওয়া মানুষের। জেলা শহরের ধাক্কামারা কাগজিয়া পাড়া এলাকার অটোরিকশার চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর শীতের জন্য বাড়ি থেকে বের হওয়া মুশকিল ছিল। সারাদিন সূর্যের দেখা যায়নি। বাতাসের কারণে কনকনে ঠান্ডা ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজকে সকাল থেকে অনেক রোদ। এখন আমাদের বেশ ভালো লাগতেছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, চারদিন ধরে ঠিকমতো সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। বুধবার সকাল থেকে চারদিকে রোদ ছড়িয়ে পড়লে শীতের তীব্রতা অনেকটাই কমে যায়। বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ থেকে কমে ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। সফিকুল আলম/এমএন/এএসএম