বাংলাদেশপন্থী রাজনীতির স্বীকৃতি নিয়েই বিদায় নিলেন খালেদা জিয়া : ফারুকী

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যু শুধু একটি রাজনৈতিক অধ্যায়ের সমাপ্তি নয়, বরং বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘বাংলাদেশ প্রথম’ দর্শনের একটি শক্ত অবস্থানেরও স্মরণ। তার প্রয়াণে শোক প্রকাশের পাশাপাশি রাজনৈতিক বাস্তবতার এক বড় পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই নেত্রীর অবদান ও অবস্থান নতুন করে আলোচনায় আসছে। বিশেষ করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশপন্থী রাজনীতিতে তার আপসহীন অবস্থান এখন অনেকের কাছেই স্বীকৃত।আরও পড়ুনখালেদা জিয়ার হাসির জন্যই প্রথম ভোট বিএনপিকে দিয়েছিলেন অভিনেতানায্য মর্যাদা পাননি মৃত্যুঞ্জয়ী খালেদা জিয়া : কনকচাঁপা এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লেখেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি মৌলিক পরিবর্তন ঘটে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতিকে সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অবমূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছিলেন তারাই আজ সেই বাংলাদেশপন্থী রাজনীতিকে উদযাপন করছেন। ফারুকীর মতে, সার্বভৌমত্ব এবং ‘বাংলাদেশ প্রথম’ নীতিকে উপেক্ষা করার সুযোগ আর নেই এই উপলব্ধিই সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাস্তবতার বড় শিক্ষা। তিনি বলেন, অন্য কোনো প্রশ্ন বা অজুহাতে দেশের প্রশ্নকে আড়াল করা যাবে না। এই জায়গায় চব্বিশের বিপ্লব বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, বেগম খালেদা জিয়া যে আদর্শ ও অবস্থানের জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছেন, তার ফল তিনি জীবদ্দশাতেই দেখে যেতে পেরেছেন এটাই তার জীবনের বড় প্রাপ্তি। ফারুকীর ভাষায়, অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও দৃঢ় অবস্থান নিয়েই তিনি বিদায় নিয়েছেন। সবশেষে তিনি লেখেন, দেশের প্রশ্নে খালেদা জিয়ার অনমনীয় অবস্থানই তাকে আজকের প্রজন্মের কাছেও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।   এলআইএ