ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ‘হারেৎজ’ বর্জনের ঘোষণা নেতানিয়াহু সরকারের

ইসরাইলের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা ‘হারেৎজ’ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। গাজা যুদ্ধে ‘শত্রুদের সমর্থন’র অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর দেশটির সরকারের কোনো সংবাদমাধ্যম বর্জনের প্রথম কোনো ঘটনা এটা।ইসরাইলি সেনাবাহিনী পরিচালিত রেডিও স্টেশন গালেই জাহাল-এর প্রতিবেদন মতে, বিজ্ঞাপন ও সম্পাদকীয়—উভয় ক্ষেত্রেই হারেৎজের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহু সরকার। এ সিদ্ধান্তের আওতায় সব মন্ত্রণালয়, সরকারি বিজ্ঞাপনী সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত কোম্পানিগুলোকে সংবাদপত্রটির সঙ্গে যেকোনো ধরনের যোগাযোগ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে জারি করা এক সরকারি সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই বর্জন কার্যকর করা হয়েছে। ওই সিদ্ধান্তে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম দফতারগুলোর দাফতরিক অ্যাকাউন্ট থেকেও হারেৎজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ ছিল। আরও পড়ুন: ইয়েমেন থেকে অবশিষ্ট সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইসরাইল সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধ চলাকালে হারেৎজ এমন কিছু সম্পাদকীয় প্রকাশ করেছে, যা ‘বিশ্বমঞ্চে ইসরাইল রাষ্ট্রের বৈধতা এবং আত্মরক্ষার অধিকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে’। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুদ্ধের মধ্যেই যদি ইসরাইলের একটি স্বীকৃত সংবাদপত্রের প্রকাশক রাষ্ট্রটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান এবং শত্রুদের সমর্থন করেন, সরকার সে ধরনের পরিস্থিতি মেনে নেবে না।’ এ কারণেই পত্রিকাটির সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন এবং এর মাধ্যমে কোনো সরকারি বিবৃতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ সংক্রান্ত একটি বিল ইসরাইলি পার্লামেন্টে প্রাথমিকভাবে পাস হয়েছে। এরপরই সংবাদমাধ্যম বর্জনের সিদ্ধান্ত সামনে এলো। আরও পড়ুন: ইসহাক দার-সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ, নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় প্রস্তাবিত আইনে ইসরাইলের অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বাহারভ-মিয়ারার ক্ষমতা কমিয়ে রাব্বিনিক আদালতের ক্ষমতা বাড়ানোর বিধান রাখা হয়েছে।  তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ বিলের বিরোধিতা করে সতর্ক করেছেন, এতে ইসরাইলে মুক্ত সংবাদমাধ্যমের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তার কথায়, এতে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের কাজে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক প্রভাব ও হস্তক্ষেপের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।