খালেদা জিয়ার শোকে বিলীন পুরান ঢাকার কোলাহল

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে সংহতি জানিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা। গতকাল সোমবার সকাল থেকেই পুরান ঢাকার প্রধান প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা ও অলিগলি ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা শোক পালন করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা দোকানের সামনে কালো পতাকা ও শোকাতুর ব্যানার টাঙিয়ে খালেদা জিয়ার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। পুরান ঢাকার চিরচেনা যানজট আর কোলাহল আজ যেন শোকের গভীরতায় বিলীন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেল চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলি ছিল অনেকটাই ফাঁকা। দোকানপাট আজ সারাদিন বন্ধ থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। পুরান ঢাকার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা ধোলাইখালের চিত্র আজ সম্পূর্ণ ভিন্ন। সাধারণত যে এলাকা যন্ত্রাংশের শব্দে মুখর থাকে, আজ সেখানে বিরাজ করছে পিনপতন নীরবতা। ধোলাইখাল রিকন্ডিশন ও পুরাতন টায়ার দোকান মালিক সমিতি, ধোলাইখাল টং মার্কেট ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি এবং পুকুরপাড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির অন্তর্ভুক্ত সব দোকানপাট আজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যতম বৃহৎ কাপড়ের বাজার ইসলামপুর ও শিক্ষা এলাকা হিসেবে পরিচিত লক্ষ্মীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির আওতাধীন দোকানগুলোও বন্ধ রেখে রাষ্ট্রীয় শোকের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তারা। কেবল বাণিজ্যিক এলাকা নয়, আদালত পাড়া সংলগ্ন ছোট-বড় সব ধরনের খাবারের দোকান ও স্টেশনারি দোকানগুলোও আজ বন্ধ। ধোলাইখাল এলাকার ব্যবসায়ী ও ধোলাইখাল রিকন্ডিশন ও পুরাতন টায়ার দোকান মালিক সমিতির নেতা রফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, খালেদা জিয়া এই দেশের মাটি ও মানুষের আপনজন ছিলেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের চেয়ে আজ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের কাছে বড়। তাই স্বতস্ফূর্তভাবে সবাই দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। ইসলামপুরের কাপড় ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খালেদা জিয়ার বিদায়ে আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছি। রাষ্ট্রীয় শোক দিবসে তার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা আজ কোনো লেনদেন করছি না। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। এমডিএএ/কেএসআর/এমএস